রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৪
বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৪
ভারতে শিশুশ্রম ও কৈলাস সত্যার্থীর নোবেল প্রাপ্তি
লক্ষ্মীকান্তপুর লাইনে যে ছোট্ট ছেলেটা প্রতিদিন তার নিজের ওজনের চেয়েও বেশি ওজনের ফটাস জলের ব্যাগ কাঁধে করে রেল পুলিশের সামনেই প্রতিদিন ট্রেনের কামরায় ফটাস জল বিক্রি করে বেড়ায়, সে কি জানে তাদের মত শিশু শ্রমিকদের যন্ত্রণা লাঘবের চেষ্টা করার জন্যেই কৈলাস সত্যার্থী নোবেল পেয়েছেন ! না জানাটাই স্বাভাবিক । কিন্তু অস্বাভাবিক হ’ল, এত বড় একটা গর্বের খবর ভারতবর্ষের খুব কম সংখ্যক মানুষের কানে পৌঁছেছে । ফলে শিশুশ্রমের বিরুদ্ধাচরণের জন্য যে ফলপ্রসূ আলোড়ন সৃষ্টি হওয়া উচিৎ ছিল, তা হয়নি । অথচ একজন ভারতীয় হিসাবে নোবেল পাওয়ার পরে ভারতীয় আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় অমর্ত্য সেনের ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল ।
এই প্রবল অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার যুগে শিশুশ্রমিক ব্যবহারকারী দেশগুলি থেকে পণ্য আমদানী নিয়ন্ত্রণ কতটা কার্যকরী হওয়া সম্ভব তাতে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে । মালিক যেমন কম মজুরীতে পণ্য উৎপাদন করতে গিয়ে শিশুশ্রমিক নিয়োগের আইন বা মানবিকতাকে বুড়ো আঙুল দেখাতে পিছপা হন না, তেমনি কোন দেশও পণ্য আমদানীতে যে শিশুশ্রমের ব্যাপারকে মাথায় রাখবে না তা বলাই বাহুল্য । আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার নির্ধারিত মান কোন আইন নয় – নীতি মাত্র । আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বিচার করলে দেখা যায়, উন্নত দেশগুলো লাগামছাড়া মুনাফা অর্জনের লোভে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানীতে ব্যস্ত – তার মধ্যে কতখানি শিশুশ্রম জড়িয়ে আছে তার হিসাব রাখার প্রয়োজনীয়তা তাদের কাছে অপ্রাসঙ্গিক । প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক নীতি (এমনকি আইনও) লঙ্ঘনের কারনেই মাঝে মাঝে জ্বলে ওঠে যুদ্ধের লেলিহান শিখা ।
শিশুশ্রম রোধে আইন হয়েছে কিন্ত জনমনে সচেতনতা সৃষ্টির যথেষ্ট বাতাবরন তৈরি হয়নি । কৈলাস সত্যার্থী নোবেল পাওয়ার পরে দেশজুড়ে শিশুশ্রম বন্ধ করার একটা ব্যাপক প্রয়াস শুরু হবে – এমনটাই আশা ছিল । কিন্তু বাস্তবে এই নোবেল প্রাপ্তির কোন ফলাফল আজও পর্যন্ত দৃষ্টিগোচর হ’ল না । না হলে চায়ের কাপ ভেঙে ফেলার অপরাধে আট বছরের শিশু শ্রমিকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার আগে হোটেলের মালিকটি অন্তত একবার ভাবতেন ।
বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৪
হাঁটছি আমি একা সঙ্গীহীন
হাঁটছি আমি একা সঙ্গীহীন
হাঁটছি আমি একা সঙ্গীহীন
আকাশ থেকে মেঘের পরদা সরে না
দিন হারানোর একটুকুও ভয় করে না
আঁকা বাঁকা খানা খন্দে আলোর খোঁজে
হাঁটছি শুধু, হাঁটছি আমি একা সঙ্গীহীন ।
তোকে ছাড়া সব গানের সুর
কেমন যেন ছন্দহীন
আমার পথ জুড়ে আজ রোদের আলো
শুধু তুই বিহীন
হাঁটছি শুধু, হাঁটছি আমি একা সঙ্গীহীন ।
দিনান্তের সব গল্প লোকে
কোথাও খুঁজে পাই যে তোকে
গঙ্গা ফড়িং তিড়িং বিরিং নাচ দেখালো
ভরল না মন,
তোর আছে যে চাঁদের আলো
সে জ্যোৎস্না ছাড়া লাগবে ভালো ?
না, বিলক্ষণ ।
আমি তুই বিহীন
হাঁটছি শুধু, হাঁটছি আমি একা সঙ্গীহীন ।
অন্দরের এই ভাবনাগুলোর অন্তঃস্থল
শান্ত ভীষণ, একটুও নেই কোলাহল
দীঘির টলমলে জল, কি বাহার !
তোর রুপের বাজি, ফুলের সাজি
নব যৌবনা,যেতে উন্মনা
আকাশ থেকে মেঘের পরদা সরে না
দিন হারানোর একটুকুও ভয় করে না
আঁকা বাঁকা খানা খন্দে আলোর খোঁজে
হাঁটছি শুধু, হাঁটছি আমি একা সঙ্গীহীন ।
তোকে ছাড়া সব গানের সুর
কেমন যেন ছন্দহীন
আমার পথ জুড়ে আজ রোদের আলো
শুধু তুই বিহীন
হাঁটছি শুধু, হাঁটছি আমি একা সঙ্গীহীন ।
দিনান্তের সব গল্প লোকে
কোথাও খুঁজে পাই যে তোকে
গঙ্গা ফড়িং তিড়িং বিরিং নাচ দেখালো
ভরল না মন,
তোর আছে যে চাঁদের আলো
সে জ্যোৎস্না ছাড়া লাগবে ভালো ?
না, বিলক্ষণ ।
আমি তুই বিহীন
হাঁটছি শুধু, হাঁটছি আমি একা সঙ্গীহীন ।
অন্দরের এই ভাবনাগুলোর অন্তঃস্থল
শান্ত ভীষণ, একটুও নেই কোলাহল
দীঘির টলমলে জল, কি বাহার !
তোর রুপের বাজি, ফুলের সাজি
নব যৌবনা,যেতে উন্মনা
রঙিন পাখায়
ডাকছি তুই বিহীন
হাঁটছি শুধু, হাঁটছি আমি একা সঙ্গীহীন ।
-
অ.না.ক. ৩১/১০/২০১৪
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৪
একটু হলেও আছে
নেই বলে কি তার নেই কিছুই ?
একটু হলেও আছে ।
হত্যা করে যাকে তুমি মৃত
ভাবো
সে অল্প হলেও বাঁচে ।
-
- অ.না.ক. ২৭/১০/২০১৪
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৪
নৈ:শব্দে উৎসব
নৈ:শব্দে উৎসব : অ.না.ক. ২৩/১০/২০১৪
নৈ:শব্দে উৎসব আদৌ জমে না
আবার উৎসবে নৈ:শব্দ বেমানান
শব্দ আর উৎসব পরস্পরের পরিপূরক।
কিন্তু ভগ্ন হৃদয় উৎসব চায়
আর সাথে চায় শান্ত নৈ:শব্দ
হতে চায় মৌন-মুখর।
বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৪
তুমি ধ্রুবতারা হয়ে আছো
তুমি ধ্রুবতারা হয়ে আছো : অ. না. ক. ২২/১০/২০১৪
ঘোর অমাবস্যায় দীপাবলীর রাতে
তুবড়ির আলোর ক্ষনিক ঝর্ণাধারায়
মুহুর্তের জন্য তোমাকে দেখেছিলাম।
সেই শেষ -
তারপর আকাশ প্রদীপ হয়ে গেলাম
টিম টিম করে জলছি
দুরের তারার পানে চেয়ে।
আমি নিশ্চিত জানি
তুমি ধ্রুবতারা হয়ে আছো আকাশে।
ঘোর অমাবস্যায় দীপাবলীর রাতে
তুবড়ির আলোর ক্ষনিক ঝর্ণাধারায়
মুহুর্তের জন্য তোমাকে দেখেছিলাম।
সেই শেষ -
তারপর আকাশ প্রদীপ হয়ে গেলাম
টিম টিম করে জলছি
দুরের তারার পানে চেয়ে।
আমি নিশ্চিত জানি
তুমি ধ্রুবতারা হয়ে আছো আকাশে।
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৪
রামধনু না প্রজাপতি ?
রামধনু না প্রজাপতি ?
অ.না.ক.
১৪/১০/২০১৪
বৃষ্টি ঝরা দিনের শেষে চকচকে রোদ
রামধনু ঐ দূর আকাশের প্রান্তে
মাঠ ঘাট সব পেড়িয়ে ছুটছে ছেলেটা
দিগন্তের ওই রামধনু ধরে আনতে ।
সাতটি রঙের ফিতে দিয়ে চুল বেঁধেছে
গায়ে যে তার ভিজে মাটির সোঁদা সুগন্ধি
রোদে রাঙা লাজুক মেয়ের রুপের টানে
ছুটবেই সে, কার সাধ্য করবে তাকে বন্দি ?
রুদ্ধশ্বাসে ছুটতে ছুটতে হঠাৎ চোখের সামনে
উড়ে এল রঙিন পাখার বিচিত্র এক প্রজাপতি
সকল রঙের পাত্র যেন উজার করে ঢালা
দিগন্তের ঐ লক্ষ্য ছেড়ে থামল যে তার গতি ।
কার যে বেশি রঙের বাহার রামধনু না প্রজাপতি
এসব নিয়ে মনের মধ্যে চলতে থাকে দ্বন্দ্ব
পথের খোয়ায় হোঁচট খেয়ে ঘুম ভেঙে যায় তার
এমন সুখের স্বপ্ন ভেঙে কাটল সকল ছন্দ ।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
মুখ চাপা সত্য
মুখ চাপা সত্য শেষ দিয়ে সত্যের শুরু নাকি সত্যের চির সমাধি? নাকি মুখ চাপা সত্যের গোঙানি স্পষ্ট বাক্যে শোনা যাবে একদিন?
-
এক লাইনের কাব্যঃ অ.না.ক. ২১/০৩/২০১৭ এক লাইনেও কাব্য হয় দু'লাইনে ছন্দময় ।