নস্টালজিয়ার মহালয়া রেডিওতেঃ অ.না.ক. ০৭/১০/২০১৮
স্মৃতিগুলো অন্ধকার গহ্বরে জীবিত অথচ মৃতের মত পড়ে থাকে। একটু সুযোগ পেলেই প্রাণের উচ্ছ্বলতায় জেগে ওঠে। আসলে কিছু মুহুর্ত, কিছু কিছু সময় স্মৃতিগুলোকে জেগে ওঠার রসদ জোগায়। যেমন বৃষ্টি। বর্ষামুখরিত দিনে জানলার পাশে বসে বাইরের অঝোর ধারাপাতে দৃষ্টি মেললে মন উদাস হওয়া মূলত ফেলে আসা দিনের স্মৃতি রোমন্থনের কারনে। মনের মধ্যে থাকা সুপ্ত প্রেমের চনমনে চঞ্চলতা কিংবা বকুল, মানস, সুধীরের মত হারিয়ে যাওয়া শৈশবের বন্ধুদের উদ্ভাসিত মুখগুলো। অতীত আর আধুনিকের ভাল-মন্দ বিচারের বিতর্কে খবরের কাগজে, টিভি চ্যানেলে, বই-এর পাতায় হাজার হাজার শব্দ ব্যয় হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ তার জীবদ্দশায় তার ফেলে আসা অতীত জীবনের সোন্দর্যে বেশি আকৃষ্ট। এ ব্যাপারে আকবর বাদশার সঙ্গে হরিপদ কেরাণীর কোন ভেদ নেই। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও অতীতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। নস্টালজিয়ার প্রতি দুর্বলতা বোধহয় মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। বন্ধ হয়ে যাওয়া পুরোনো ঘড়িও দিনে দুবার একেবারে নির্ভুল সময় দেয় যার কাছে আধুনিকতম ঘড়িও হার মানে। জানিনা অতীতের প্রতি মানুষের এই স্বভাবসিদ্ধ আসক্তি এই কারনেই কি না। সঙ্গীত, নাটক, সিনেমা, সাহিত্য সর্বক্ষেত্রে আধুনিকতার পাশাপাশি অতীতে উঁকি দিয়ে 'আহা' 'আহা' ক'রে নস্টালজিক হয়ে ওঠা এখনোও মানুষের প্রায় মজ্জাগত।
আগেই বলেছি কিছু কিছু মুহুর্ত, কিছু কিছু সময় স্ম্তি উসকে দেয়। আজ আমার ক্ষেত্রেও ঘটেছে এমন ঘটনা যার পরিপ্রেক্ষিতেই এতগুলো কথার অবতারণা। সকালে আলমারি থেকে ল্যাপটপ বের করতে গিয়ে আলমারির একটি কোনায় চোখ পড়ে যেতে থমকে গেলাম। একটা রেডিও। প্রায় বছর পনেরো আগে কেনা। যে উদ্দেশ্যে কেনা হয়েছিল (এফ.এম. শোনা) সে কাজ এখন মোবাইল ফোনেই অনায়াসে হয়ে যায়। তাই অব্যবহারে এখন অচল। আগামীকাল মহালয়া। চটপট নতুন ব্যাটারি লাগিয়ে প্রাণবন্ত ক'রে তুলেছি রেডিওটাকে। এবার আর টিভি দেখা নয়, ইচ্ছে রয়েছে এবার চলবে 'আকাশবাণী কলকাতা'র মহিষাসুরমর্দিনী। মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনব এবং আশপাশের মানুষদের শোনাব বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের সেই দরাজ গলায় স্তোত্র পাঠ, সঙ্গে পঙ্কজ কুমার মল্লিক, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, সুপ্রীতি ঘোষ, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, শিপ্রা বসুর এবং আরোও অনেকের কন্ঠে শরীরে শিহরণ জাগানো গানে শরতের ভোর মুখরিত করা গান।
স্মৃতিগুলো অন্ধকার গহ্বরে জীবিত অথচ মৃতের মত পড়ে থাকে। একটু সুযোগ পেলেই প্রাণের উচ্ছ্বলতায় জেগে ওঠে। আসলে কিছু মুহুর্ত, কিছু কিছু সময় স্মৃতিগুলোকে জেগে ওঠার রসদ জোগায়। যেমন বৃষ্টি। বর্ষামুখরিত দিনে জানলার পাশে বসে বাইরের অঝোর ধারাপাতে দৃষ্টি মেললে মন উদাস হওয়া মূলত ফেলে আসা দিনের স্মৃতি রোমন্থনের কারনে। মনের মধ্যে থাকা সুপ্ত প্রেমের চনমনে চঞ্চলতা কিংবা বকুল, মানস, সুধীরের মত হারিয়ে যাওয়া শৈশবের বন্ধুদের উদ্ভাসিত মুখগুলো। অতীত আর আধুনিকের ভাল-মন্দ বিচারের বিতর্কে খবরের কাগজে, টিভি চ্যানেলে, বই-এর পাতায় হাজার হাজার শব্দ ব্যয় হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ তার জীবদ্দশায় তার ফেলে আসা অতীত জীবনের সোন্দর্যে বেশি আকৃষ্ট। এ ব্যাপারে আকবর বাদশার সঙ্গে হরিপদ কেরাণীর কোন ভেদ নেই। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও অতীতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। নস্টালজিয়ার প্রতি দুর্বলতা বোধহয় মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। বন্ধ হয়ে যাওয়া পুরোনো ঘড়িও দিনে দুবার একেবারে নির্ভুল সময় দেয় যার কাছে আধুনিকতম ঘড়িও হার মানে। জানিনা অতীতের প্রতি মানুষের এই স্বভাবসিদ্ধ আসক্তি এই কারনেই কি না। সঙ্গীত, নাটক, সিনেমা, সাহিত্য সর্বক্ষেত্রে আধুনিকতার পাশাপাশি অতীতে উঁকি দিয়ে 'আহা' 'আহা' ক'রে নস্টালজিক হয়ে ওঠা এখনোও মানুষের প্রায় মজ্জাগত।
আগেই বলেছি কিছু কিছু মুহুর্ত, কিছু কিছু সময় স্ম্তি উসকে দেয়। আজ আমার ক্ষেত্রেও ঘটেছে এমন ঘটনা যার পরিপ্রেক্ষিতেই এতগুলো কথার অবতারণা। সকালে আলমারি থেকে ল্যাপটপ বের করতে গিয়ে আলমারির একটি কোনায় চোখ পড়ে যেতে থমকে গেলাম। একটা রেডিও। প্রায় বছর পনেরো আগে কেনা। যে উদ্দেশ্যে কেনা হয়েছিল (এফ.এম. শোনা) সে কাজ এখন মোবাইল ফোনেই অনায়াসে হয়ে যায়। তাই অব্যবহারে এখন অচল। আগামীকাল মহালয়া। চটপট নতুন ব্যাটারি লাগিয়ে প্রাণবন্ত ক'রে তুলেছি রেডিওটাকে। এবার আর টিভি দেখা নয়, ইচ্ছে রয়েছে এবার চলবে 'আকাশবাণী কলকাতা'র মহিষাসুরমর্দিনী। মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনব এবং আশপাশের মানুষদের শোনাব বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের সেই দরাজ গলায় স্তোত্র পাঠ, সঙ্গে পঙ্কজ কুমার মল্লিক, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, সুপ্রীতি ঘোষ, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, শিপ্রা বসুর এবং আরোও অনেকের কন্ঠে শরীরে শিহরণ জাগানো গানে শরতের ভোর মুখরিত করা গান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন