দশমীতে মন খারাপঃ দশমী অমরনাথ কর্মকার ২৬/১০/২০২০
আজ তো স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ সবার। আমার মন খারাপ ভিন্ন কারনে। উৎসব শেষ হয়্রে গেল ব'লে একটুও নয়। এ বছর শুরু আর শেষের মধ্যে প্রভাদই বা কি ছিল? আমার খারাপ লাগছে বিজয়া দশমীতে পারস্পরিক মিলনের করুন অবস্থা দেখে। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে তো এতদিন অনেক কিছুই চলল। কিন্তু কোলাকুলি, প্রণাম, আশির্বাদ এগুলো কি ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সম্ভব। স্পর্শ না থাকলে অনুভূতি অনুপস্থিত। মানুষ রক্ত-মাংসে গড়া। অতএব, স্পর্শ ছাড়া অনুভূতি আসে না। হ্যাঁ, মন দিয়েও অনুভূতির আস্বাদ মেলে। সে তো উচ্চ দর্শন। প্লেটোনিক প্রেম, ইউটোপিয়া এসব সাধারণ ব্যাপার-স্যাপার নয়। কোলে কোলে মিলনের নাম কোলাকুলি। অতএব সোস্যাল মিডিয়ায়, অন লাইনে কোলাকুলি আদৌ সম্ভব নয়। বিদেশ থেকে বাবা ছেলেকে যতই আশির্বাদ করুক ভিডিও কলে, আশির্বাদের হাত তো আর ছেলের মাথায় পড়ে না! কিংবা বাবার পায়ে ছেলের হাতের স্পর্শ পেলে বাবার যে অনুভূতি হয় তা কি ভার্চুয়াল মাধ্যমে সম্ভব? মোটকথা এগুলো মূলত যান্ত্রিকতা, মানবিকতা বা সামাজিকতা কোনটাই নয়। এবছর দশমীতে বাঙালীর এই বঞ্চনা ইতিহাস হয়ে থাকবে। আজ আর বেশি কিছু নয়। করোনার ক্রান্তিকাল অতিক্রম ক'রেআগামী বছর পুজো ফিরে আসুক তার স্বাভাবিক মেজাজে এই শুভ কামনায় সকলকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং আজ লেখা একটি কবিতা দিয়ে শেষ করলামঃ
ভার্চুয়াল ভালোবাসাঃ অমরনাথ কর্মকার
বলছি আমি খোলাখুলি
ভারচুয়াল কোলাকুলি,
আশির্বাদ বা ভালোবাসা
সামাজিক নয়, যান্ত্রিকতায় ঠাসা।
স্পর্শ যদি নাই-ই থাকে
অনুভূতির মূল্যটাকে
কেমন ক'রে করবে স্থির?
কারন, রক্ত-মাংসে মানব শরীর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন