সপ্তমীতে মন খারাপ ০৫/১০/২০১৯
পুজো এলেই মন খারাপ হয়। এর থেকে বেরোনোর কোন পথ খুঁজে পাইনি আজও। আসলে কেন জানিনা উৎসবের জনারণ্যে নিজেকে বড্ড নিঃসঙ্গ লাগে। আজ সপ্তমী। প্রিয়জনদের আবদার মেটানো আর সামাজিকতার খাতিরে বেরিয়েছিলাম প্যান্ডেল দেখতে, রংবাহারী আধুনিক আলোকসজ্জা দেখতে। তার চেয়েও সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু 'থিম' দেখার আগ্রহ ছিল বেশি। মন খারাপ লাগছিল এই ভেবে যে, যে দেবীর আরাধনা ঘিরে এই উৎসব তাঁর প্রসঙ্গ, তাঁর মূর্তির সৌন্দর্য নিয়ে কোন আলোচনাই অনুপস্থিত। কেবল প্যান্ডেলের কারুকার্য আর থিম এগুলোই প্রায় সবার মুখে মুখে। বারবার মনে হচ্ছিল এগুলোর জন্য তো পৃথক প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা যেতে পারে - দুর্গা পুজো কেন? তাতে কি দেবীকে ছোট করা হচ্ছে না! জানি একান্ত এই ব্যক্তিগত মতামত গ্রহণযোগ্য হবে না। আমাদের ছোট বেলায় আলোকসজ্জা পুজো মন্ডপের অন্যতম আকর্ষণের বিষয় ছিল ঠিকই কিন্তু বেশ মনে আছে সবার মুখে মুখে ফিরত কোন প্যান্ডেলে দুর্গার মুখ কেমন হয়েছে, কোথায় অসুরের চেহারাটা মন কেড়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রসঙ্গত ব'লে রাখি আমি আধুনিকতায় বিশ্বাসী কিন্তু আধুনিকতার সাথে প্রাসঙ্গিকতার মেল বন্ধন না থাকলে তা মোটেই গ্রহণযোগ্য হয় না আমার কাছে। এসব দেখে শুনেই মন খারাপ হয়, সহস্র মানুষের ভিড়েও নিজেকে নিঃসঙ্গ মনে হয়। আমাদের পাড়ার এক প্যান্ডেলের সামনে দেখলাম পুজো কমিটির তরফ থেকে গরীবদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণের অনুষ্ঠান চলছে। মঞ্চে একে একে ডাকা হচ্ছে বস্ত্র গ্রহণের উদ্দেশ্যে। দেখলাম আমাদের পাড়ার লালু মাথা নিচু করে মঞ্চে উঠে আবার মাথা নিচু করেই বস্ত্র হাতে নেমে দ্রুত মিশে গেল মানুষের ভিড়ে। বুঝতে বাকী রইল না ও লজ্জা পেয়েছে। লালু ভীষন মেধাবী ছাত্র। ওর দারিদ্রের কথা মুখ ফুটে কখনও বলতে শুনিনি। লেখাপড়ার জন্য পাড়া থেকে আমরা নিয়মিত অর্থ সাহায্য করি। মনটা খারাপ হ'ল। বস্ত্র বিতরণ কি ঢাক-ঢোল পিটিয়ে পুজো প্যান্ডেলে হাজার হাজার মানুষের সামনেই করতে হবে! দরিদ্রের কি লাজ লজ্জা নেই? এসব ভেবে লাভ হবে না জানি, তবুও মনে খোঁচা দেয়। পরিণতি মন খারাপ। মন খারাপ হলে সময় যেন দীর্ঘায়িত হয় - সময় ধার নেওয়ার মত পাশে কাউকে পাই না ব'লে কলমকে সঙ্গী করি। শেষে কবিতায় চার লাইন -
মন খারাপে মন না দিয়ে
খুলে রাখি বুকের বোতাম,
ঠান্ডা বাতাস হুড়মুড়িয়ে
ঢুকলে আমি স্নিগ্ধ হতাম।
পুজো এলেই মন খারাপ হয়। এর থেকে বেরোনোর কোন পথ খুঁজে পাইনি আজও। আসলে কেন জানিনা উৎসবের জনারণ্যে নিজেকে বড্ড নিঃসঙ্গ লাগে। আজ সপ্তমী। প্রিয়জনদের আবদার মেটানো আর সামাজিকতার খাতিরে বেরিয়েছিলাম প্যান্ডেল দেখতে, রংবাহারী আধুনিক আলোকসজ্জা দেখতে। তার চেয়েও সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু 'থিম' দেখার আগ্রহ ছিল বেশি। মন খারাপ লাগছিল এই ভেবে যে, যে দেবীর আরাধনা ঘিরে এই উৎসব তাঁর প্রসঙ্গ, তাঁর মূর্তির সৌন্দর্য নিয়ে কোন আলোচনাই অনুপস্থিত। কেবল প্যান্ডেলের কারুকার্য আর থিম এগুলোই প্রায় সবার মুখে মুখে। বারবার মনে হচ্ছিল এগুলোর জন্য তো পৃথক প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা যেতে পারে - দুর্গা পুজো কেন? তাতে কি দেবীকে ছোট করা হচ্ছে না! জানি একান্ত এই ব্যক্তিগত মতামত গ্রহণযোগ্য হবে না। আমাদের ছোট বেলায় আলোকসজ্জা পুজো মন্ডপের অন্যতম আকর্ষণের বিষয় ছিল ঠিকই কিন্তু বেশ মনে আছে সবার মুখে মুখে ফিরত কোন প্যান্ডেলে দুর্গার মুখ কেমন হয়েছে, কোথায় অসুরের চেহারাটা মন কেড়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রসঙ্গত ব'লে রাখি আমি আধুনিকতায় বিশ্বাসী কিন্তু আধুনিকতার সাথে প্রাসঙ্গিকতার মেল বন্ধন না থাকলে তা মোটেই গ্রহণযোগ্য হয় না আমার কাছে। এসব দেখে শুনেই মন খারাপ হয়, সহস্র মানুষের ভিড়েও নিজেকে নিঃসঙ্গ মনে হয়। আমাদের পাড়ার এক প্যান্ডেলের সামনে দেখলাম পুজো কমিটির তরফ থেকে গরীবদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণের অনুষ্ঠান চলছে। মঞ্চে একে একে ডাকা হচ্ছে বস্ত্র গ্রহণের উদ্দেশ্যে। দেখলাম আমাদের পাড়ার লালু মাথা নিচু করে মঞ্চে উঠে আবার মাথা নিচু করেই বস্ত্র হাতে নেমে দ্রুত মিশে গেল মানুষের ভিড়ে। বুঝতে বাকী রইল না ও লজ্জা পেয়েছে। লালু ভীষন মেধাবী ছাত্র। ওর দারিদ্রের কথা মুখ ফুটে কখনও বলতে শুনিনি। লেখাপড়ার জন্য পাড়া থেকে আমরা নিয়মিত অর্থ সাহায্য করি। মনটা খারাপ হ'ল। বস্ত্র বিতরণ কি ঢাক-ঢোল পিটিয়ে পুজো প্যান্ডেলে হাজার হাজার মানুষের সামনেই করতে হবে! দরিদ্রের কি লাজ লজ্জা নেই? এসব ভেবে লাভ হবে না জানি, তবুও মনে খোঁচা দেয়। পরিণতি মন খারাপ। মন খারাপ হলে সময় যেন দীর্ঘায়িত হয় - সময় ধার নেওয়ার মত পাশে কাউকে পাই না ব'লে কলমকে সঙ্গী করি। শেষে কবিতায় চার লাইন -
মন খারাপে মন না দিয়ে
খুলে রাখি বুকের বোতাম,
ঠান্ডা বাতাস হুড়মুড়িয়ে
ঢুকলে আমি স্নিগ্ধ হতাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন