দাদাগিরির গল্প
প্রায়
বছর
দশেক
কিংবা
তারও
কিছু
আগের
একটি
ঘটনা
।
ঘটনাটার
কথা
মনে
করলে
আজও
শরীর
শিউরে
ওঠে
।
কলেজস্ট্রিটে
কিছু
বই
কিনে, বন্ধুদের
সঙ্গে
আড্ডা
দিয়ে
যখন
শিয়ালদা
স্টেশনে
এলাম
তখন
অনেক
রাত
।
স্টেশন
প্রায়
জনশূন্য
।
রাতের
শেষ
ট্রেনটাও পাব
কিনা
ভাবছি
।
এমন
সময়
দেখলাম
শেষ
লক্ষ্মীকান্তপুর
লোকাল
দাঁড়িয়ে
আছে
দশ
নম্বর
প্লাটফর্মে
।
একটি
কামরায়
একা
যেতে
সাহসে
কুলোচ্ছিল
না
। ট্রেনটি
ছাড়তে
তখনও
মিনিট
পনের
বাকী
।
তাই
এ
কামরা
ও
কামরায়
উঁকি
দিয়ে
দেখার
চেষ্টা
করছিলাম
যদি
কোন
সহযাত্রী
খুঁজে
পাওয়া
যায়
।
কোথাও
কাউকে
না
পেয়ে
শেষ
পর্যন্ত
সাহসে
ভর
করে
একটি
সহযাত্রীহীন
কামরায়
উঠে
পড়লাম
।
তার
পরের
ঘটনা
মর্মান্তিক
।
কামরায়
উঠে
ভেতরে
যেতেই
যে
দৃশ্য
চোখে পড়ল
তাতে আমার
প্রায়
সংজ্ঞাহীন
হবার
উপক্রম
।
দেখলাম
কামরার
মেঝেতে
পড়ে
আছে
প্রায়
সর্বশরীর
রক্তে
ভেজা
এক
যুবক
।
মাথার
একপাশ
থেকে
গলগল
ক’রে
তখনও
স্রোতের
মত
রক্তের
ধারা
বইছে
।
নিথর
হয়ে
এই
অবস্থায়
তাকে
পড়ে
থাকতে
দেখে
মনে
হয়েছিল
হয়ত
মারা
গেছে
।
পরক্ষণেই
দেখলাম
শরীরটা
কেঁপে
উঠল
।
সমস্ত
ভয়
কেটে
গিয়ে
তখন
মনে
কেমন
যেন
সাহস
এসে
ভর
করল
।
একটুও
দেরী
না
করে
সোজা
চলে
গেলাম
জি, আর, পি, থানায় । তাঁদের
ঘটনাটা
জানালাম
।
তারপর
আমার
অনুরোধে
ওঁরা
যুবকটিকে
তৎক্ষণাৎ
নিয়ে
গেল
পাশের
হাসপাতালে
। আমিও
গেলাম
সাথে
।
সঙ্গে
সঙ্গে
ভর্তিও
করানো
হ’ল
।
সেদিন
আমার
বাড়ি
ফেরা
হয়নি
।
রাতে
চলে
গিয়েছিলাম
বউবাজারে
মামার
বাড়ি
।
পরদিন
বাড়ি
ফেরার
সময়ে
জি, আর, পি, থানায়
খবর
নিয়ে
জেনেছিলাম
সে
এযাত্রা
বেঁচে
গেছে
।
তার
বাড়ির
লোকেরা
ইতিমধ্যে
খবরও
পেয়ে
গেছে
।
আরও
জেনেছিলাম,
পোস্টে
ধাক্কা
খেয়েই
তার
ঐ
অবস্থা
হয়েছিল
।
থানার
বড়বাবু
আমায়
সেদিন
অনেক
ধন্যবাদ
দিয়েছিলেন
ঠিক
সময়ে
খবর
দিয়ে
যুবকটিকে
বাঁচানোর
জন্য
।
আর
আমি
দিয়েছিলাম
ঈশ্বরকে
ধন্যবাদ
– অজস্র ধন্যবাদ - বিপদের
সময়ে
আমাকে
অসীম
সাহস
যোগানোর
জন্য
।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন