শুক্রবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৬

ষষ্ঠীতে মনখারাপ ০৮ অক্টোবর, ২০১৬


                                                                 ষষ্ঠীতে মনখারাপ 

আবার পূজো এল । আবার মন খারাপের পালা । কি অদ্ভুত ! চারিদিকে আনন্দের প্লাবন দেখলেই আমার মনে বিষণ্ণতার শুষ্কতা জেগে ওঠে । না, পরশ্রীকাতরতা আমার স্বভাব বিরুদ্ধ । যারা আনন্দের বন্যায় ভেসে উৎসব উপভোগ করে প্রাণ ভ’রে, তাদের দেখে আনন্দ হয় ভীষণ । কিন্তু আমার মন খারাপের কারন সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং একদম অন্য রকম । পুজো এলেই পরিবেশ রৌদ্রজ্জ্বল, আমার মন কিন্তু মেঘলা । পাড়ার এক রিক্সা চালকের ছেলেটা অংকে এম.এস.সি. করেছে । মাঝে মাঝেই আসেন আমার কাছে পরামর্শ করতে ছেলেটার চাকরি পাবার ব্যাপারে । এমনকি তাঁর রিক্সাতে উঠলেও তিনি ছেলের প্রসঙ্গ তোলেন । এর আগে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর শংসাপত্র পাবার ব্যাপারে তাঁর ছেলেকে সাহায্য করেছিলাম । সেই সূত্র ধরেই তিনি আমাকে যথেষ্ট সমীহ করেন । মাঝে মাঝে রিক্সার ভাড়া না নিয়ে লজ্জায় ফেলে দেন আমাকে । গতকাল পঞ্চমীর দিনে তাঁর রিক্সায় চেপে বাড়ি ফিরছি । কথাবার্তায় মনে হ’ল বেশ আনন্দে আছেন । অবশ্য আমি বুঝলেও তাঁর মুখ দিয়ে কখনোও শুনিনি তাঁর দারিদ্রের কথা – শুধু একথা বলতে শুনেছি ছেলের পড়াশুনার খরচ চালানো বড্ড দুঃসাধ্য হয়ে যাচ্ছে তাঁর পক্ষে । জিজ্ঞেস করলাম – কি ব্যাপার বেশ খুশি খুশি লাগছে যে । পরক্ষণেই জানালেন ছেলে আপার প্রাইমারী পরীক্ষায় পাশ করেছে । নম্বর ভালই পেয়েছে । ইন্টার্ভিউ ওৎরাতে পারলেই চাকরিটা নিশ্চিত একথা ভেবেই হয়ত আনন্দে আছেন । জানি, এই দুর্নীতির বাজারে চাকরিটা আদৌ হবে কি না সে ব্যাপারে যথেষ্ট সংশয় আছে, তবুও আমি আশ্বস্ত করলাম – নিশ্চয়ই হয়ে যাবে । দেখলাম রিক্সাচালকের মুখটা কেমন গম্ভীর হয়ে গেল । তাঁর মনখারাপের কারন খোঁজার বৃথা চেষ্টা করলাম না, কারন আমারও তো মাঝে মাঝেই মন খারাপ হয় অজ্ঞাত কারনে । রিক্সা থেকে নেমে প্রায় জোর ক’রে পয়সা দিতে হ’ল। আজ ষষ্ঠী, সকালে মাছের বাজারে একটু ভালো মাছ কেনার ইচ্ছেয় একটা বড় দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছি – এক কোনায় একটা ব্যাগ হাতে লুঙ্গি পরিহিত ওই রিক্সাওয়ালাকে দেখলাম একা একা দাঁড়িয়ে আছেন । এর আগেও ওনাকে বাজারে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখেছি অনেকদিন । আসলে বাজার শেষ হওয়ার মুখে দোকানিরা যখন কম দামে জিনিস বিক্রি করে চলে যান, তিনি সেই অপেক্ষায় থাকেন । আমি আজ মাছ না কিনেই বাড়ি ফিরেছি । ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি দুর্গা নাকি সবার মা । তাহলে যে বাচ্চা ছেলেটা তার শৈশব বিসর্জন দিয়ে পুজোর দিনে বেলুন বেচে উপার্জনে ব্যস্ত তার মা কে ? আজ সকালে ঘুরতে বেড়িয়ে বেশ কয়েকটি পুজো প্যান্ডেলের সামনে দেখলাম কিছু মানুষের জটলা – নারী, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা । দৃশ্যতই তারা দারিদ্রপীড়িত । বোঝা গেল বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন । মঞ্চে সুবেশ নেতা, ক্লাবের সম্পাদক থেকে শুরু করে নানা উচ্চতার মানুষজন – যেন নিজেদের দানশীলতাকে জাহির করার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে । মনে মনে ভাবলাম সারা বছর যাদের অন্ন-বস্ত্র জোটানোর চেষ্টার নামে যেখানে রাজনীতি চলে, পূজোর আনন্দঘন পরিবেশে তাদের দাঁড় করিয়ে দানশীলতা প্রদর্শনের মাধ্যমে ঐ সমস্ত অসহায় মানুষদের বেঁচে থাকার অধিকারকে কি অপমান করা হয় না ? তাঁদেরকে কি বুঝিয়ে দেওয়া হয় না তোমরা আনন্দ করো আমাদের দয়ায় – তোমাদের আনন্দে স্বতঃস্ফূর্ততা নেই ? ওরাও বোঝে কিন্তু মুখের ভাষা মূক ক’রে দেয় দারিদ্র । একটু আগেই পাড়ার পূজো প্যান্ডেলের সামনে ১২-১৩ বছরের এক কিশোরকে দেখলাম বেলুন বিক্রি করছে । এই বয়সের ছেলেদের হাতে এখন দামী অ্যানড্রয়েড ফোন । ভাবলাম ওর একটা ছবি তুলি । ফোকাসও করলাম – দেখলাম একরাশ বিষণ্ণতা নিয়ে আমার ক্যামেরার দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে । মন খারাপ হ’ল । শেষপর্যন্ত ক্লিক করলাম না । জানি ওর ছবিটা এরপর আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাবে । বিকেলে রাস্তা দিয়ে আসতে আসতে দেখলাম একটা বাচ্চা মেয়ের কান্না থামাতে তার মা মেয়েটাকে রাস্তায় এনে অনেক ক’রে বোঝাচ্ছেন । বুঝতে অসুবিধা হ’ল না – তার বাবা ড্রাইভার – ভাড়া নিয়ে গেছে সারারাত কোলকাতায় ঠাকুর দেখতে । মেয়েটাও চেয়েছিল বাবার সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যাবে । কিন্তু বাবা রাতে বাড়ি ফিরবে না জেনেই মেয়ের এই করুন কান্না । এরকম টুকরো টূকরো দৃশ্য চোখে পড়ার ভয়ে পূজোর সময় রাস্তায় বেরোতে সাহস হয় না । সন্ধের পরে চারিদিকে যখন আলোর রোশনাই – মাইকের আওয়াজ – বাড়ির পাশে রাস্তা দিয়ে আনন্দ-মুখরিত মানুষজনের উচ্ছ্বসিত পদচারনা – আমি তখন ঘরের কোনে একের পর এক রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর শুনে চলেছি বাঁশিতে – আজ ভাষার চেয়ে সুরই বেশি ভালো লাগছে – হয়ত মন খারাপ বলেই । 
                                                                                                                     অ.না.ক. ষষ্ঠী, ৮ অক্টোবর, ২০১৬

শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৬

সমস্যা জিইয়ে রাখার চেষ্টাঃ অ,না,ক, ২৭/০৮/২০১৬

মুর্শিদাবাদ হাসপাতালে আগুন । কি মর্মান্তিক দৃশ্য ! সদ্যোজাত শিশুগুলোর কি করুন দশা ! আমরা এরকম পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদেরকে প্রায় মানিয়ে নিতে শিখে নিয়েছি । আমরা দুঃখ পাচ্ছি, এসব নিয়ে রাজনীতি করছি, খবরের কাগজের বিক্রি বাড়ছে, টিভি চ্যানেলের টি,আর,পি, বাড়ছে হই হই করে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করছি । আমরা আদৌ বিষ্মিত হচ্ছি না । কারন ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করার আন্তরিক প্রয়াসে রাজনৈতিক মুনাফা মেলে না । এই কারনেই সমস্যা সমাধানের দাবি ওঠে মিটিং-মিছিলে - বাস্তবে বরং সমস্যা জিইয়ে রাখারই চেষ্টা চলে । আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাজনীতি - সভ্যতার কফিনের ওপর চলছে রাজনীতির জীবন্ত উদ্দিপনা ।

অ্যাম্বুলেন্স:অ. না. ক. ২৭/০৮/২০১৬

এখানে আয়নার বারংবার প্রতিফলন
কখনো গদ্যে কখনো কাব্যে ।
আমি দেখি শোকের ছায়া
আর অন্তিম পরিণামের দৃশ্য ।
এখানে ঘন ঘন মৃত্যুর পুনরাবৃত্তি
একরাশ যন্ত্রণা, শোকার্ত পরিজন ।
আমরা চলেছি অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে
সাংবাদিকের ক্যামেরায় চলমান বিরামহীন গল্প ।
মাঝে মাঝে দুঃখ হয়, বিস্ময় জাগে না
কারন এ ছবি প্রতিকারহীন প্রাত্যহিক ।
                                                           অ. না. ক. ২৭/০৮/২০১৬

রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০১৬

বন্ধুত্ব দিবসের শুভেচ্ছাঃ অ.না.ক. ০৭/০৮/২০১৬



বন্ধুত্ব বলিতে তিনটি পদার্থ বুঝায়। দুই জন ব্যক্তি ও একটি জগ। অর্থা দুই জনে সহযোগী হইয়া জগতের কাজ সম্পন্ন করা। আর, প্রেম বলিলে দুই জন ব্যক্তি মাত্র বুঝায়, আর জগনাই। দুই জনেই দুই জনের জগত্। ... ইহা ছাড়া আর একটা কথা আছেপ্রেম মন্দির ও বন্ধুত্ব বাসস্থান। মন্দির হইতে যখন দেবতা চলিয়া যায় তখন সে আর বাসস্থানের কাজে লাগিতে পারে না, কিন্তু বাসস্থানে দেবতা প্রতিষ্ঠা করা যায়।– কথাগুলো বলেছেন রবীন্দ্রনাথ। সত্যিই তো বন্ধুত্ব মানে একটা নতুন জগতের সৃষ্টি । অনেকটা ঢাকের বাঁয়ার মত । যেকোন একজনের অনুপস্থিতি এই নতুন জগৎ সৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে । জীবনের পথে চলার সময় এই বন্ধুত্বই আমাদের অতুলনীয় পাথেয় । সেই ছোট্ট বেলায় বন্ধু পেলে কান্না থামত, বন্ধু পেলে আনন্দে ভরত মন । তারপর স্কুল, কলেজ সর্বত্র চলেছে বন্ধুর সন্ধান আর সেই বন্ধুত্বের হাত ধরেই চেনা জগতের গণ্ডি পেরিয়ে চলে গেছি অন্য জগতে – কল্পনা আর বাস্তব মেশানো এক অন্য রকম জগৎ । এখন কঠিন জীবনযুদ্ধে অনেক কিছু না পেলেও শুধু বন্ধু পেলে চলে যায়, আবার প্রাপ্তির প্রাচুর্যের মধ্যেও বন্ধু ছাড়া চলে না । বোধ হয় ভার্জিনিয়া উলফ একারনেই বলেছেন, Some people go to priests; others to poetry; I to my friends । তার মানে বন্ধু মানেই সবকিছু প্রেম, কবিতা, ঈশ্বর । দার্শনিক অ্যারিস্টটল বন্ধুত্বের পরিণাম নিয়ে বলেছিলেন যে বন্ধুত্ব গড়া ক্ষণিকের কাজ, কিন্তু সে ফল ধীরে ধীরে পাকে । বন্ধুত্ব গড়া সহজ, সেটাকে টিকিয়ে রাখা ততোটাই কঠিন । নানা তুচ্ছ কারনে বন্ধুত্বের ইতি ঘটে যায় হামেশাই । তাই বন্ধুত্ব অনেকটা দাঁতের মত । দাঁত পড়ে গেলে তবেই বোঝা যায় দাঁতের মর্যাদা । পারিবারিক, অর্থনৈতিক বা সামাজিক অবস্থানের বৈষম্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাঝপথে বন্ধুত্বের অবসান ঘটায় । কিন্তু বন্ধু   সবার চায় – ভীষণভাবে চায় – এই উপলব্ধি থেকেই অস্কার ওয়াইল্ড লিখেছেন, I don't want to go to heaven. None of my friends are there. দেশ, ভাষা, সমাজ, জাতি, ধর্ম এসবের বিভিন্নতা অনুযায়ী বন্ধুত্বের রীতিও বিচিত্র । কিন্তু মোড়কের রং যাই হোক, বন্ধুত্বের মৌলিক উপাদানের ভেদ নেই । আজ বন্ধুত্বের দিনে মজবুত হোক বন্ধুত্বের ভীত – গড়ে উঠুক নতুন জগৎ । তবে জীবনে এমন বন্ধু যেন না জোটে যাতে ভলতেয়ারের মত আক্ষেপ করে বলতে না হয় “ঈশ্বর আমাকে বন্ধুদের হাত থেকে বাঁচাও, শত্রুকে আমি নিজেই দেখে নেব” ।  

বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৬

সন্তানের নামকরণ

নবজাতকের নামে অভিনবত্ব আনার ব্যাপারে আজকাল কমবেশি সকলেই বেশ সচেতন । বিশেষত শহুরে অভিভাকদের মধ্যে সন্তানের নামকরণে ব্যতিক্রম এবং আকর্ষণ আনার মরিয়া চেষ্টা । কখনো গল্প উপন্যাসের চরিত্র, কখনো রামায়ন-মহাভারতের প্রায় অপরিচিত অথচ অভিনব নাম খুঁজে সন্তানের নামে বৈচিত্র আনার প্রতিযোগিতা চলে শহরাঞ্চলে । এখন তো সন্তান জন্মালেই ইন্টারনেটে নতুন নতুন নাম খোঁজার ধুম পড়ে যায় । সত্যি বলতে কি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো আসলে নিজেদের রুচি, সংস্কৃতি এসব জাহির করার চেষ্টা মাত্র । আরে বাবা, রাম, শ্যাম, সুনীল, কমল এসব নাম রাখলে কি সন্তান বড় হবে না, নাকি এসব নাম বংশের মর্যাদা রক্ষায় অক্ষম । জানি নামে কিছু আসে যায় না, তবুও নাম নিয়ে নাচানাচি । গ্রামের লোকের মধ্যে এই প্রবনতা এখনও কম । লুচিমনি, ক্ষান্তমনি, রাম, শ্যাম, যা হোক একটা রাখলেই হ'ল । গ্রামের লোক বার তিথি নক্ষত্র এসব মাথায় রাখেন নামকরণের সঙ্গে । যে কারনে বৃহস্পতি, পূর্ণিমা রবি এই ধরনের নামই সেখানে বেশি শোনা যায় । অবশ্য পৌরাণিক চরিত্র যেমন যুধিষ্ঠির, অর্জুন, লক্ষণ, লক্ষ্মী এই নামগুলো গ্রামের মানুষের মধ্যে অতীব সাধারণ । দারিদ্র আর পরিশ্রমের সঙ্গে যাদের প্রাত্যহিক সংগ্রাম, তাদের সময় বা মানসিকতা কোথায় অভিধান ঘেঁটে সন্তানের নামকরণ করার ? তাই বলে এই নয় যে গ্রামের মানুষের মধ্যে সন্তানের সুন্দর নামকরণ করার মত কেউই নেই । আছে, এবং এমন মানুষও আছে যাদের কাছে শহরের মানুষকেও হার মানতে হবে । আজ অফিসে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়ে এতগুলো কথা লিখলাম । আমার অফিস দঃ ২৪ পরগণার প্রত্যন্ত গ্রামবেষ্টিত অঞ্চলে । অফিসে গ্রামের স্বল্প শিক্ষিত বা নিরক্ষর দিন-আনা-দিন-খাওয়া অনেক মানুষের দরখাস্ত জমা পড়ে বিভিন্ন সরকারী সাহায্যের আবেদন জানিয়ে । স্বভাবতই আবেদনকারীদের বহুশ্রুত নামেও থাকে গ্রাম্য প্রকাশ । কিন্তু আজ এক আবেদনকারীর নাম দেখে রীতিমত বিষ্মিতই হলাম । প্রথমে ভেবেছিলাম গতানুগতিক বানান ভুল । একটু খুঁটিয়ে দেখে থমকে গেলাম । ইন্টারনেট সার্চ করে দেখলাম ভুল তো নয়ই, নামটি সঠিক, দারুন অর্থবহ এবং আমার কাছে অশ্রুতপূর্ব । আবেদনকারীর নাম ষড়শীতি যার অর্থ ছিয়াশিতম । জানিনা ছিয়াশি সালে জন্ম বলেই এই নামকরণ কিনা । তবে কারন যাই হোক, নামকরণটি যার করা তিনি যে নামকরণের ব্যাপারে তথাকথিত আধুনিক শিক্ষিত রুচিশীল শহরবাসীদের অতি সহজেই টেক্কা দিতে পারেন তা বলাই বাহুল্য ।

সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬

অস্ত্র



নাই বা কাটুক ধারে
অস্ত্র যদি ভারি হয়
কাটতে পারে ভারে ।
যে অস্ত্র ধারবিহীন
ওজনেও খুব হাল্কা
সেটা কি তবে মূল্যহীন ?
না, তা কখনই নয়
অস্ত্রআঘাত হানবে না
তা কখনো হয় ?

মুখ চাপা সত্য

 মুখ চাপা সত্য শেষ দিয়ে সত্যের শুরু  নাকি সত্যের চির সমাধি?  নাকি মুখ চাপা সত্যের গোঙানি স্পষ্ট বাক্যে শোনা যাবে একদিন?