পুজোয় মনখারাপ ; অমরনাথ কর্মকার, ষষ্ঠী, ১০/১০/২০১৩
গতকাল বলেছিলাম মন খারাপ । এই কর্মব্যস্ত জীবনে ছোট্ট ছোট্ট আনুভূতিগুলো মস্তিস্কে জাঁকিয়ে বসার সুযোগ পায় না । সুতরাং মন খারাপ বেশিক্ষণ থাকার কথা নয় । ভুলেই গিয়েছিলাম পঞ্চমীর দিনে দেখা ছেলেটার কথা যাকে দেখে মন খারাপ হয়েছিল । টিভিতে ভারত-অষ্ট্রেলিয়ার টি-২০ সিরিজ, বাইরে পুজো প্যান্ডেলে আলোর রোশনাই, মাইকে ভেসে আসা বিচিত্র গানের সুর, সানাই-এর মূর্ছনা । অতএব, কিসের মন খারাপ ? মন খারাপ হওয়ার কথা নয়, তবুও মন খারাপ ।
আজ ষষ্ঠী, সন্ধ্যেয় ইচ্ছে হ’ল একটু ঘুরে দেখে আসি চারদিকের উৎসবমুখর পরিবেশ । বরাবরই পুজোর উৎসবে রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে প্যান্ডেল কিংবা আলোর বাহার দেখার চেয়ে আমার কান পড়ে থাকে বিভিন্ন প্যান্ডেল থেকে ভেসে আসা বিচিত্র স্বাদের গান শোনার দিকে । সাধারণত পুজোর এই ক’টা দিন যে গানগুলো বাজে তা মন দিয়ে শুনতে ইচ্ছে করে । রাস্তায় হাঁটছি, দেখছি কাতারে কাতারে লোকের উচ্ছ্বসিত পদচারনা । এক জায়গায় শুনতে পেলাম সানাই-এর সুর । আজ ষষ্ঠীতে বোধনের দিনে সেখানে বাজছে বিদায়ের সুর । মন খারাপ হ’ল । এতে মন খারাপ হওয়ার কথা নয় । আমি তো মাঝে মাঝেই এরকম সুর শুনে থাকি, শুনতে ভালোবাসি – তাতে পুলকিত হই । তাহলে নিজের অজান্তে হঠাৎ কেন মনখারাপ ? মানে খুঁজে পাই না । জি-বাংলায় শ্রেয়ানের গান শুনব বলে উদগ্রিব হয়ে বাড়ি ফিরছি । হঠাৎ একটা প্যান্ডেল থেকে ভেসে এল –
যদি জানতেম আমার কিসের ব্যথা
তমায় জানাতাম কে যে আমায় কাঁদায় ............
বুঝলাম শুধু আমি নই – এরকম অজানা ব্যথায় মনখারাপ অনেকেরই হয় ।