বৈদ্যুতিন সাগরে বন্ধুর মুখ ভাসে শয়ে শয়ে,
অলস সময় কাটে বাতাসে বার্তা বিনিময়ে,
বাতাসের ব্যাপক ব্যবধান ভুলে নি:সংশয়ে
ওদের বন্ধু ভাবি, তবু থাকি ভয়ে
থাকবে কি ওরা আমার পাশে অসময়ে ?
অ না ক ২০/১২/২০১৬
মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬
রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৬
গ্রীষ্ম নাকি হয়ে গেছে রঙবাজ
এখানে আসতে শিতের বড্ড অনীহা আজ,
ও বলেছে গ্রীষ্ম নাকি হয়ে গেছে রঙবাজ। অ.না.ক. ০৪/১২/'১৬
ও বলেছে গ্রীষ্ম নাকি হয়ে গেছে রঙবাজ। অ.না.ক. ০৪/১২/'১৬
একটি স্মৃতি
কলেজের সামনে রাস্তার ওপারে ছোট্ট দোকানটা । কলেজে ঢোকার প্রথম দিনেই টিফিন পিরিয়ডে কয়েকজন বন্ধু আমাকে নিয়ে গেল দোকানটাতে । সিগারেটে তখন শিক্ষানবিশই বলা চলে । দোকানদারকে মামা ব’লে সম্বোধন করতে শুনলাম অনেককে । পরে জানলাম তিনি কলেজের ছাত্রদের কাছে বহুদিন আগে থেকেই মামা হয়ে আছেন । তাঁর এই মামা হয়ে ওঠার ইতিহাস জানার ইচ্ছে হয়েছিল একটু কিন্তু কেউ বলতে পারেনি । জানিনা বাড়ির কাজের মহিলাকে যেমন পিসি বলতে শেখানো হয়, এর পেছনেও ওরকম কোন কারন ছিল কি না । মামা কাঠবাঙাল – আমাদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় নিজের ভাষা থেকে একচুল বিচ্যুত হতেন না । কথাবার্তা ছিল ব্যঙ্গাত্মক । কথার মারপ্যাঁচে একেবারে জমিয়ে দিতেন সবাইকে – সেইসাথে ছিল রসাত্মক অঙ্গভঙ্গি । এই কারনেই আশপাশে সিগারেট, লজেন্সের আরও দোকান থাকলেও একমাত্র মামার দোকানেই ছাত্রদের ভিড় লেগে থাকত ।
প্রায় আড়াই দশক আগে কলেজ ছাড়ার পর থেকে কলেজের রাস্তায় খুব একটা যাওয়া হয় না । মাঝে মাঝে দিনের বেলায় গাড়িতে ওই রাস্তা দিয়ে গেলে দোকানটাকে দেখার চেষ্টা করি । দোকানটা খোলা থাকতেও দেখি । কিন্তু দোকাদারের চেহারা দেখে মনে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় – এই কি সেই মামা নাকি অন্য কেউ । মামা কি এখনো জীবিত আছে ? চেহারাটা সেই মামার মতই লাগে অনেকটা । নাকি “ভারতবর্ষ” গল্পের সেই “ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে” ?
আজ একটা কাজে কলেজের কাছে যেতে হয়েছিল । সিগারেটে এখন আমার আসক্তি নেই । তবুও কেন জানিনা কলেজের কাছে এসে খুব সিগারেট খেতে ইচ্ছে হ’ল আজ । গেলাম সেই মামার দোকানে । দেখলাম বৃদ্ধ দোকানদার আমাকে ‘আপনি’ সম্বোধনে বাঙাল ভাষায় কথা বলছেন । সিগারেট ধরিয়ে ওখানেই দাঁড়িয়ে ভদ্রলোকের সঙ্গে নানান কথা ব’লে বোঝার চেষ্টা করলাম তিনিই সেই মামা কি না । কথা প্রসঙ্গে অতীত আর বর্তমানের ছাত্রদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ের তুলনা উঠে আসল । পরিস্কার হয়ে গেল আমার কাছে, ইনিই সেই মামা । আড়াই দশক আগেকার আমার পরিচয় দিলে তিনি আমাকে যে চিনতে পারবেন না সেটা নিশ্চিত জেনেও পরিচয়টা দিলাম । অবাক বিষ্ময়ে লক্ষ্য করলাম তিনি আমার নামটাও মনে রেখেছেন । মামাকে আমার মনে রাখা সহজ কিন্তু তাঁর পক্ষে এত বিপুল সংখ্যক ছাত্রদের নাম মনে রাখা অসম্ভব হওয়াটাই স্বাভাবিক । কিন্তু আমার নামটা তাঁর মনে থাকল কি ক’রে এই প্রশ্নটাই আমাকে আজ সারাদিন ধ’রে ভাবাচ্ছে ।
মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৬
তোমাকে ভালোবেসেও কাছে রাখিনি
তোমাকে ভালোবেসেও কাছে রাখিনিঃ অ.না.ক. ০৯/১১/২০১৬
পরিত্যক্ত কাগজের মতো
তুমি উড়ে বেড়াতে এতদিন ।
ভাগ্যিস তোমাকে পাগলের মত
ভালোবেসেও কাছে রাখিনি !
নইলে এক বিছানায় তোমার সাথে
রাত কাটিয়ে ঘুমনোই দায় হ’ত আমার ।
পরিত্যক্ত কাগজের মতো
তুমি উড়ে বেড়াতে এতদিন ।
ভাগ্যিস তোমাকে পাগলের মত
ভালোবেসেও কাছে রাখিনি !
নইলে এক বিছানায় তোমার সাথে
রাত কাটিয়ে ঘুমনোই দায় হ’ত আমার ।
সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৬
দূষন দোষে দুষ্ট বাতাস
দিল্লি, বেঙ্গালুরুতে ঘন ধোঁয়াশায় দম বন্ধ করা পরিবেশ
দূষন দোষে দুষ্ট বাতাস
পথ আগলে ছড়াচ্ছে ত্রাস
বলছে ডেকে জনে জনে
কেন ডাকছ নিজের সর্বনাশ?
অ না ক ০৭/১১/'১৬
দূষন দোষে দুষ্ট বাতাস
পথ আগলে ছড়াচ্ছে ত্রাস
বলছে ডেকে জনে জনে
কেন ডাকছ নিজের সর্বনাশ?
অ না ক ০৭/১১/'১৬
মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০১৬
মেয়েটার সব শখ রাতারাতি গেল ঝ'রে
সহোদর নেই বলে খুব শখ ছিল তার
সব ছেলেদের ভাইফোঁটা দেবে তার পাড়ার ।
পাড়ার নির্জন গলিতে বাঘের তীক্ষ্ণ আঁচড়ে
মেয়েটার সব শখ রাতারাতি গেল ঝ'রে ।
অ.না.ক.০১/১১/২০১৬
সব ছেলেদের ভাইফোঁটা দেবে তার পাড়ার ।
পাড়ার নির্জন গলিতে বাঘের তীক্ষ্ণ আঁচড়ে
মেয়েটার সব শখ রাতারাতি গেল ঝ'রে ।
অ.না.ক.০১/১১/২০১৬
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
মুখ চাপা সত্য
মুখ চাপা সত্য শেষ দিয়ে সত্যের শুরু নাকি সত্যের চির সমাধি? নাকি মুখ চাপা সত্যের গোঙানি স্পষ্ট বাক্যে শোনা যাবে একদিন?
-
এক লাইনের কাব্যঃ অ.না.ক. ২১/০৩/২০১৭ এক লাইনেও কাব্য হয় দু'লাইনে ছন্দময় ।