সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৩

দাদাগিরির গল্প



দাদাগিরির গল্প
প্রায় বছর দশেক কিংবা তারও কিছু আগের একটি ঘটনা ঘটনাটার কথা মনে করলে আজও শরীর শিউরে ওঠে কলেজস্ট্রিটে কিছু বই কিনে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে যখন শিয়ালদা স্টেশনে এলাম তখন অনেক রাত স্টেশন প্রায় জনশূন্য রাতের শেষ ট্রেনটাও পাব কিনা ভাবছি এমন সময় দেখলাম শেষ লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল দাঁড়িয়ে আছে দশ নম্বর প্লাটফর্মে একটি কামরায় একা যেতে সাহসে কুলোচ্ছিল না ট্রেনটি ছাড়তে তখনও মিনিট পনের বাকী তাই কামরা কামরায় উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করছিলাম যদি কোন সহযাত্রী খুঁজে পাওয়া যায় কোথাও কাউকে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত সাহসে ভর করে একটি সহযাত্রীহীন কামরায় উঠে পড়লাম তার পরের ঘটনা মর্মান্তিক কামরায় উঠে ভেতরে যেতেই যে দৃশ্য চোখে পড়ল  তাতে আমার প্রায় সংজ্ঞাহীন হবার উপক্রম দেখলাম কামরার মেঝেতে পড়ে আছে প্রায় সর্বশরীর রক্তে ভেজা এক যুবক মাথার একপাশ থেকে গলগল রে তখনও স্রোতের মত রক্তের ধারা বইছে নিথর হয়ে এই অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখে মনে হয়েছিল হয়ত মারা গেছে পরক্ষণেই দেখলাম শরীরটা কেঁপে উঠল সমস্ত ভয় কেটে গিয়ে তখন মনে কেমন যেন সাহস এসে ভর করল একটুও দেরী না করে সোজা চলে গেলাম জি, আর, পি,  থানায় তাঁদের ঘটনাটা জানালাম তারপর আমার অনুরোধে ওঁরা যুবকটিকে তৎক্ষণাৎ নিয়ে গেল পাশের হাসপাতালে আমিও গেলাম সাথে  সঙ্গে সঙ্গে ভর্তিও করানো   সেদিন আমার বাড়ি ফেরা হয়নি রাতে চলে গিয়েছিলাম বউবাজারে মামার বাড়ি পরদিন বাড়ি ফেরার সময়ে জি, আর, পি, থানায় খবর নিয়ে জেনেছিলাম সে এযাত্রা বেঁচে গেছে তার বাড়ির লোকেরা ইতিমধ্যে খবরও পেয়ে গেছে আরও জেনেছিলাম, পোস্টে ধাক্কা খেয়েই তার অবস্থা হয়েছিল থানার বড়বাবু আমায় সেদিন অনেক ধন্যবাদ দিয়েছিলেন ঠিক সময়ে খবর দিয়ে যুবকটিকে বাঁচানোর জন্য আর আমি দিয়েছিলাম ঈশ্বরকে ধন্যবাদ অজস্র ধন্যবাদ -  বিপদের সময়ে আমাকে অসীম সাহস যোগানোর জন্য

শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৩

ভবিষ্যতের ভূত



ভবিষ্যতের ভূত : আ.না.ক. ১৮/১০/২০১৩

রাত্রি নিঝুম            তবুও এখন
          পাইনা ভূতের ভয়
ভূতের আড্ডা        থাকবে কেন ?
          চারদিক যে আলোকময়

ছোট বেলায়           রাত্রি হলেই
          গা ছমছম, রাম নাম
শাকচুন্নি,মামদো     দেখার ভয়ে
          মায়ের কোলে মুখ লুকোতাম

তবে কি এখন        ভূতরা উধাও ?
          প্রশ্ন জাগে মনের মাঝে
নিশ্চয়ই নয়                    আছে অন্য নামে
          মিশে আছে এই সমাজে

ভূততো আছেই      থাকবেও তারা
          এই তো ভূতের ভবিষ্যৎ
মারতে হলে           ভবিষ্যতের ভূত
          মন্ত্র শেখাই একমাত্র পথ

রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৩

পুজোয় মনখারাপ ; অমরনাথ কর্মকার, নবমী, ১৩/১০/২০১৩

পুজোয় মনখারাপ ; অমরনাথ কর্মকার, নবমী, ১৩/১০/২০১৩

মন খারাপ দিয়ে শুরু করেছিলাম পঞ্চমী – সেই মনখারাপ প্রবহমান নবমীর রাত পর্যন্তও । বাইরে বৃষ্টি, উৎসবের আনন্দে ভাঁটা । আজ বোধ হয় সকলেরই মন খারাপ । তাদের মন খারাপের নির্দিষ্ট কারন আছে – উৎসবের আনন্দে বৃষ্টির অনুপ্রবেশ আর দেবী দুর্গার ‘অদ্য শেষ রজনী’র বিহ্বলতা । ওসবে আমার মন নেই । আমার মন খারাপের কারন হয়ত আছে কিন্তু শত অনুসন্ধানেও তার হদিশ পাচ্ছি না । আজ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে শুরু করে আমার একটা কবিতা দিতে নবমী শেষ করছি -

“মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই
কেউ তা বোঝে না সকলি গোপন মুখে ছায়া নেই
চোখ খোলা তবু চোখ বুজে আছি কেউ তা দেখেনি
প্রতিদিন কাটে দিন কেটে যায় আশায় আশায়
আশায় আশায় আশায় আশায়
...............
আশায় আশায় আশায় আশায়
আশায় আশায় .......... “

পুজোয় মনখারাপ ; অমরনাথ কর্মকার, নবমী, ১৩/১০/২০১৩

পুজোয় মনখারাপ ; অমরনাথ কর্মকার, নবমী, ১৩/১০/২০১৩

মন খারাপ দিয়ে শুরু করেছিলাম পঞ্চমী – সেই মনখারাপ প্রবহমান নবমীর রাত পর্যন্তও । বাইরে বৃষ্টি, উৎসবের আনন্দে ভাঁটা । আজ বোধ হয় সকলেরই মন খারাপ । তাদের মন খারাপের নির্দিষ্ট কারন আছে – উৎসবের আনন্দে বৃষ্টির অনুপ্রবেশ আর দেবী দুর্গার ‘অদ্য শেষ রজনী’র বিহ্বলতা । ওসবে আমার মন নেই । আমার মন খারাপের কারন হয়ত আছে কিন্তু শত অনুসন্ধানেও তার হদিশ পাচ্ছি না । আজ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে শুরু করে আমার একটা কবিতা দিতে নবমী শেষ করছি -

“মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই
কেউ তা বোঝে না সকলি গোপন মুখে ছায়া নেই
চোখ খোলা তবু চোখ বুজে আছি কেউ তা দেখেনি
প্রতিদিন কাটে দিন কেটে যায় আশায় আশায়
আশায় আশায় আশায় আশায়
...............
আশায় আশায় আশায় আশায়
আশায় আশায় .......... “
পুজোয় মনখারাপ ; অমরনাথ কর্মকার, নবমী, ১৩/১০/২০১৩

মন খারাপ দিয়ে শুরু করেছিলাম পঞ্চমী – সেই মনখারাপ প্রবহমান নবমীর রাত পর্যন্তও । বাইরে বৃষ্টি, উৎসবের আনন্দে ভাঁটা । আজ বোধ হয় সকলেরই মন খারাপ । তাদের মন খারাপের নির্দিষ্ট কারন আছে – উৎসবের আনন্দে বৃষ্টির অনুপ্রবেশ আর দেবী দুর্গার ‘অদ্য শেষ রজনী’র বিহ্বলতা । ওসবে আমার মন নেই । আমার মন খারাপের কারন হয়ত আছে কিন্তু শত অনুসন্ধানেও তার হদিশ পাচ্ছি না । আজ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে শুরু করে আমার একটা কবিতা দিতে নবমী শেষ করছি -

“মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই
কেউ তা বোঝে না সকলি গোপন মুখে ছায়া নেই
চোখ খোলা তবু চোখ বুজে আছি কেউ তা দেখেনি
প্রতিদিন কাটে দিন কেটে যায় আশায় আশায়
আশায় আশায় আশায় আশায়
...............
আশায় আশায় আশায় আশায়
আশায় আশায় .......... “

শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৩

পুজোয় মনখারাপ ; অমরনাথ কর্মকার, সপ্তমী, ১১/১০/২০১৩

পুজোয় মনখারাপ ; অমরনাথ কর্মকার, সপ্তমী, ১১/১০/২০১৩ পূজোয় মন খারাপ না বলে আজ একটু ঘুরিয়ে বলি বরং – মন খারাপের পুজো । সপ্তমীতে উৎসবের মেজাজ সপ্তমেই ছিল । দুদিন আগেই আকাশের গোমরা মুখে হাসির ঝিলিক দেখে পুজোর আনন্দ মাটি হওয়ার শঙ্কা কাটিয়ে উৎসবমুখরতা প্রকট হতে শুরু করেছিল । জীবনের উৎসব থেকে উৎসবের জীবন একটু অন্য মাত্রা পাক এই আশায় প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে যখন জনস্রোত, আলোয় আলোয় উদ্ভাসিত চারদিক – হঠাৎই সপ্তমীতে শোনা গেল আবহাওয়া দপ্তরের অশনি সংকেত – ওড়িশা আর অন্ধ্র উপকূলে ধেয়ে আসছে ‘ফাইলিন’ নামের এক দানবীয় ঝড় যার প্রভাবে নাকি বঙ্গেও হবে বৃষ্টিপাত । সুতরাং এবার শুধু আমার নয় – সমস্ত বাঙ্গালীর মন খারাপ । আবার পুজোর আনন্দে মাতা ক্রিকেটপ্রেমী বাঙ্গালীর হৃদস্পন্দনে দেখা দিয়েছে অস্বাভাবিকতা – ইতিমধ্যেই তাদের কানে পৌঁছে গেছে বিসর্জনের বাদ্যি – ক্রিকেট জীবন থেকে ক্রিকেটের ভগবান সচিনের অবসর । অবশ্য এতে ক্রিকেটপ্রেমীদের মন খারাপ হলেও সামগ্রিকতায় তার প্রভাব পড়ার কথা নয় । এতক্ষণ তো অন্য সবার মনখারাপের কথা বললাম । ঝড় ঝঞ্ঝা, সচিন এসব নিয়ে আমার একদম মাথা ব্যথা নেই । তবুও আমার মন খারাপ । কেন জানিনা । পুজো এলেই আমার মন খারাপ হয় – প্রতি বছর একই ভাবে । আজ সপ্তমীতে স্ত্রী-পুত্রের সঙ্গে বেরিয়েছিলাম স্থানীয় প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখতে । জনারন্যে পথ চলতে বেশ ভালই লাগছিল । বিভিন্ন প্যান্ডেলে ফুটিয়ে তোলা নিত্য নতুন বিষয় ভাবনায় মন ও চোখ দুটোই জুড়িয়ে যাচ্ছিল । সেইসাথে আলোর বাহার, প্রতিমার বৈচিত্র্য আর কারুকাজ দেখে মোহিত হয়ে যাচ্ছিলাম । হোটেলে রাতের খাবার খেয়ে এই মাত্র বাড়ি ফিরলাম । মনে এখনও লেগে আছে একটু আগে দেখে আসা শিল্প শৈলীর নৈপুণ্য । মাঝে মাঝে ভাবছি, আর তো মাত্র দু-তিন দিন । তারপর এত পরিশ্রমের সমস্ত শিল্প উধাও হয়ে যাবে । পরের বছর আবার নতুন নতুন বিষয় ভাবনা নিয়ে হাজির হবে দুর্গাপুজো । এতে তো মন খারাপ হবার কথা নয় । এটাই তো সনাতন রীতি । কিন্তু তবুও মন খারাপ । ক্রাইষ্ট চার্চ স্কুলের ছোট্ট মেয়েটির মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তার বাবা-মা-ঠাকুরদা পুজোতে কী ভাবে দিন কাটাচ্ছেন, ক্যান্সার আক্রান্ত ছোট্ট শিশুটি পুজোর আনন্দে সামিল হওয়ার জন্য হাসপাতালের বাইরে আসার জন্য কীভাবে ছটফট করছে এ সব টেলিভিশনের পর্দায় দেখেও দুঃখ পাইনি একটুও । অথচ কেন জানিনা মন খারাপ – ভীষন মন খারাপ ।

বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৩

পুজোয় মনখারাপ ; অমরনাথ কর্মকার, ষষ্ঠী, ১০/১০/২০১৩

পুজোয় মনখারাপ ; অমরনাথ কর্মকার, ষষ্ঠী, ১০/১০/২০১৩ গতকাল বলেছিলাম মন খারাপ । এই কর্মব্যস্ত জীবনে ছোট্ট ছোট্ট আনুভূতিগুলো মস্তিস্কে জাঁকিয়ে বসার সুযোগ পায় না । সুতরাং মন খারাপ বেশিক্ষণ থাকার কথা নয় । ভুলেই গিয়েছিলাম পঞ্চমীর দিনে দেখা ছেলেটার কথা যাকে দেখে মন খারাপ হয়েছিল । টিভিতে ভারত-অষ্ট্রেলিয়ার টি-২০ সিরিজ, বাইরে পুজো প্যান্ডেলে আলোর রোশনাই, মাইকে ভেসে আসা বিচিত্র গানের সুর, সানাই-এর মূর্ছনা । অতএব, কিসের মন খারাপ ? মন খারাপ হওয়ার কথা নয়, তবুও মন খারাপ । আজ ষষ্ঠী, সন্ধ্যেয় ইচ্ছে হ’ল একটু ঘুরে দেখে আসি চারদিকের উৎসবমুখর পরিবেশ । বরাবরই পুজোর উৎসবে রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে প্যান্ডেল কিংবা আলোর বাহার দেখার চেয়ে আমার কান পড়ে থাকে বিভিন্ন প্যান্ডেল থেকে ভেসে আসা বিচিত্র স্বাদের গান শোনার দিকে । সাধারণত পুজোর এই ক’টা দিন যে গানগুলো বাজে তা মন দিয়ে শুনতে ইচ্ছে করে । রাস্তায় হাঁটছি, দেখছি কাতারে কাতারে লোকের উচ্ছ্বসিত পদচারনা । এক জায়গায় শুনতে পেলাম সানাই-এর সুর । আজ ষষ্ঠীতে বোধনের দিনে সেখানে বাজছে বিদায়ের সুর । মন খারাপ হ’ল । এতে মন খারাপ হওয়ার কথা নয় । আমি তো মাঝে মাঝেই এরকম সুর শুনে থাকি, শুনতে ভালোবাসি – তাতে পুলকিত হই । তাহলে নিজের অজান্তে হঠাৎ কেন মনখারাপ ? মানে খুঁজে পাই না । জি-বাংলায় শ্রেয়ানের গান শুনব বলে উদগ্রিব হয়ে বাড়ি ফিরছি । হঠাৎ একটা প্যান্ডেল থেকে ভেসে এল – যদি জানতেম আমার কিসের ব্যথা তমায় জানাতাম কে যে আমায় কাঁদায় ............ বুঝলাম শুধু আমি নই – এরকম অজানা ব্যথায় মনখারাপ অনেকেরই হয় ।

মুখ চাপা সত্য

 মুখ চাপা সত্য শেষ দিয়ে সত্যের শুরু  নাকি সত্যের চির সমাধি?  নাকি মুখ চাপা সত্যের গোঙানি স্পষ্ট বাক্যে শোনা যাবে একদিন?