রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৩

পুজোয় মনখারাপ ; অমরনাথ কর্মকার, নবমী, ১৩/১০/২০১৩

পুজোয় মনখারাপ ; অমরনাথ কর্মকার, নবমী, ১৩/১০/২০১৩

মন খারাপ দিয়ে শুরু করেছিলাম পঞ্চমী – সেই মনখারাপ প্রবহমান নবমীর রাত পর্যন্তও । বাইরে বৃষ্টি, উৎসবের আনন্দে ভাঁটা । আজ বোধ হয় সকলেরই মন খারাপ । তাদের মন খারাপের নির্দিষ্ট কারন আছে – উৎসবের আনন্দে বৃষ্টির অনুপ্রবেশ আর দেবী দুর্গার ‘অদ্য শেষ রজনী’র বিহ্বলতা । ওসবে আমার মন নেই । আমার মন খারাপের কারন হয়ত আছে কিন্তু শত অনুসন্ধানেও তার হদিশ পাচ্ছি না । আজ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে শুরু করে আমার একটা কবিতা দিতে নবমী শেষ করছি -

“মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই
কেউ তা বোঝে না সকলি গোপন মুখে ছায়া নেই
চোখ খোলা তবু চোখ বুজে আছি কেউ তা দেখেনি
প্রতিদিন কাটে দিন কেটে যায় আশায় আশায়
আশায় আশায় আশায় আশায়
...............
আশায় আশায় আশায় আশায়
আশায় আশায় .......... “

পুজোয় মনখারাপ ; অমরনাথ কর্মকার, নবমী, ১৩/১০/২০১৩

পুজোয় মনখারাপ ; অমরনাথ কর্মকার, নবমী, ১৩/১০/২০১৩

মন খারাপ দিয়ে শুরু করেছিলাম পঞ্চমী – সেই মনখারাপ প্রবহমান নবমীর রাত পর্যন্তও । বাইরে বৃষ্টি, উৎসবের আনন্দে ভাঁটা । আজ বোধ হয় সকলেরই মন খারাপ । তাদের মন খারাপের নির্দিষ্ট কারন আছে – উৎসবের আনন্দে বৃষ্টির অনুপ্রবেশ আর দেবী দুর্গার ‘অদ্য শেষ রজনী’র বিহ্বলতা । ওসবে আমার মন নেই । আমার মন খারাপের কারন হয়ত আছে কিন্তু শত অনুসন্ধানেও তার হদিশ পাচ্ছি না । আজ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে শুরু করে আমার একটা কবিতা দিতে নবমী শেষ করছি -

“মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই
কেউ তা বোঝে না সকলি গোপন মুখে ছায়া নেই
চোখ খোলা তবু চোখ বুজে আছি কেউ তা দেখেনি
প্রতিদিন কাটে দিন কেটে যায় আশায় আশায়
আশায় আশায় আশায় আশায়
...............
আশায় আশায় আশায় আশায়
আশায় আশায় .......... “
পুজোয় মনখারাপ ; অমরনাথ কর্মকার, নবমী, ১৩/১০/২০১৩

মন খারাপ দিয়ে শুরু করেছিলাম পঞ্চমী – সেই মনখারাপ প্রবহমান নবমীর রাত পর্যন্তও । বাইরে বৃষ্টি, উৎসবের আনন্দে ভাঁটা । আজ বোধ হয় সকলেরই মন খারাপ । তাদের মন খারাপের নির্দিষ্ট কারন আছে – উৎসবের আনন্দে বৃষ্টির অনুপ্রবেশ আর দেবী দুর্গার ‘অদ্য শেষ রজনী’র বিহ্বলতা । ওসবে আমার মন নেই । আমার মন খারাপের কারন হয়ত আছে কিন্তু শত অনুসন্ধানেও তার হদিশ পাচ্ছি না । আজ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে শুরু করে আমার একটা কবিতা দিতে নবমী শেষ করছি -

“মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই
কেউ তা বোঝে না সকলি গোপন মুখে ছায়া নেই
চোখ খোলা তবু চোখ বুজে আছি কেউ তা দেখেনি
প্রতিদিন কাটে দিন কেটে যায় আশায় আশায়
আশায় আশায় আশায় আশায়
...............
আশায় আশায় আশায় আশায়
আশায় আশায় .......... “

শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৩

পুজোয় মনখারাপ ; অমরনাথ কর্মকার, সপ্তমী, ১১/১০/২০১৩

পুজোয় মনখারাপ ; অমরনাথ কর্মকার, সপ্তমী, ১১/১০/২০১৩ পূজোয় মন খারাপ না বলে আজ একটু ঘুরিয়ে বলি বরং – মন খারাপের পুজো । সপ্তমীতে উৎসবের মেজাজ সপ্তমেই ছিল । দুদিন আগেই আকাশের গোমরা মুখে হাসির ঝিলিক দেখে পুজোর আনন্দ মাটি হওয়ার শঙ্কা কাটিয়ে উৎসবমুখরতা প্রকট হতে শুরু করেছিল । জীবনের উৎসব থেকে উৎসবের জীবন একটু অন্য মাত্রা পাক এই আশায় প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে যখন জনস্রোত, আলোয় আলোয় উদ্ভাসিত চারদিক – হঠাৎই সপ্তমীতে শোনা গেল আবহাওয়া দপ্তরের অশনি সংকেত – ওড়িশা আর অন্ধ্র উপকূলে ধেয়ে আসছে ‘ফাইলিন’ নামের এক দানবীয় ঝড় যার প্রভাবে নাকি বঙ্গেও হবে বৃষ্টিপাত । সুতরাং এবার শুধু আমার নয় – সমস্ত বাঙ্গালীর মন খারাপ । আবার পুজোর আনন্দে মাতা ক্রিকেটপ্রেমী বাঙ্গালীর হৃদস্পন্দনে দেখা দিয়েছে অস্বাভাবিকতা – ইতিমধ্যেই তাদের কানে পৌঁছে গেছে বিসর্জনের বাদ্যি – ক্রিকেট জীবন থেকে ক্রিকেটের ভগবান সচিনের অবসর । অবশ্য এতে ক্রিকেটপ্রেমীদের মন খারাপ হলেও সামগ্রিকতায় তার প্রভাব পড়ার কথা নয় । এতক্ষণ তো অন্য সবার মনখারাপের কথা বললাম । ঝড় ঝঞ্ঝা, সচিন এসব নিয়ে আমার একদম মাথা ব্যথা নেই । তবুও আমার মন খারাপ । কেন জানিনা । পুজো এলেই আমার মন খারাপ হয় – প্রতি বছর একই ভাবে । আজ সপ্তমীতে স্ত্রী-পুত্রের সঙ্গে বেরিয়েছিলাম স্থানীয় প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখতে । জনারন্যে পথ চলতে বেশ ভালই লাগছিল । বিভিন্ন প্যান্ডেলে ফুটিয়ে তোলা নিত্য নতুন বিষয় ভাবনায় মন ও চোখ দুটোই জুড়িয়ে যাচ্ছিল । সেইসাথে আলোর বাহার, প্রতিমার বৈচিত্র্য আর কারুকাজ দেখে মোহিত হয়ে যাচ্ছিলাম । হোটেলে রাতের খাবার খেয়ে এই মাত্র বাড়ি ফিরলাম । মনে এখনও লেগে আছে একটু আগে দেখে আসা শিল্প শৈলীর নৈপুণ্য । মাঝে মাঝে ভাবছি, আর তো মাত্র দু-তিন দিন । তারপর এত পরিশ্রমের সমস্ত শিল্প উধাও হয়ে যাবে । পরের বছর আবার নতুন নতুন বিষয় ভাবনা নিয়ে হাজির হবে দুর্গাপুজো । এতে তো মন খারাপ হবার কথা নয় । এটাই তো সনাতন রীতি । কিন্তু তবুও মন খারাপ । ক্রাইষ্ট চার্চ স্কুলের ছোট্ট মেয়েটির মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তার বাবা-মা-ঠাকুরদা পুজোতে কী ভাবে দিন কাটাচ্ছেন, ক্যান্সার আক্রান্ত ছোট্ট শিশুটি পুজোর আনন্দে সামিল হওয়ার জন্য হাসপাতালের বাইরে আসার জন্য কীভাবে ছটফট করছে এ সব টেলিভিশনের পর্দায় দেখেও দুঃখ পাইনি একটুও । অথচ কেন জানিনা মন খারাপ – ভীষন মন খারাপ ।

বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৩

পুজোয় মনখারাপ ; অমরনাথ কর্মকার, ষষ্ঠী, ১০/১০/২০১৩

পুজোয় মনখারাপ ; অমরনাথ কর্মকার, ষষ্ঠী, ১০/১০/২০১৩ গতকাল বলেছিলাম মন খারাপ । এই কর্মব্যস্ত জীবনে ছোট্ট ছোট্ট আনুভূতিগুলো মস্তিস্কে জাঁকিয়ে বসার সুযোগ পায় না । সুতরাং মন খারাপ বেশিক্ষণ থাকার কথা নয় । ভুলেই গিয়েছিলাম পঞ্চমীর দিনে দেখা ছেলেটার কথা যাকে দেখে মন খারাপ হয়েছিল । টিভিতে ভারত-অষ্ট্রেলিয়ার টি-২০ সিরিজ, বাইরে পুজো প্যান্ডেলে আলোর রোশনাই, মাইকে ভেসে আসা বিচিত্র গানের সুর, সানাই-এর মূর্ছনা । অতএব, কিসের মন খারাপ ? মন খারাপ হওয়ার কথা নয়, তবুও মন খারাপ । আজ ষষ্ঠী, সন্ধ্যেয় ইচ্ছে হ’ল একটু ঘুরে দেখে আসি চারদিকের উৎসবমুখর পরিবেশ । বরাবরই পুজোর উৎসবে রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে প্যান্ডেল কিংবা আলোর বাহার দেখার চেয়ে আমার কান পড়ে থাকে বিভিন্ন প্যান্ডেল থেকে ভেসে আসা বিচিত্র স্বাদের গান শোনার দিকে । সাধারণত পুজোর এই ক’টা দিন যে গানগুলো বাজে তা মন দিয়ে শুনতে ইচ্ছে করে । রাস্তায় হাঁটছি, দেখছি কাতারে কাতারে লোকের উচ্ছ্বসিত পদচারনা । এক জায়গায় শুনতে পেলাম সানাই-এর সুর । আজ ষষ্ঠীতে বোধনের দিনে সেখানে বাজছে বিদায়ের সুর । মন খারাপ হ’ল । এতে মন খারাপ হওয়ার কথা নয় । আমি তো মাঝে মাঝেই এরকম সুর শুনে থাকি, শুনতে ভালোবাসি – তাতে পুলকিত হই । তাহলে নিজের অজান্তে হঠাৎ কেন মনখারাপ ? মানে খুঁজে পাই না । জি-বাংলায় শ্রেয়ানের গান শুনব বলে উদগ্রিব হয়ে বাড়ি ফিরছি । হঠাৎ একটা প্যান্ডেল থেকে ভেসে এল – যদি জানতেম আমার কিসের ব্যথা তমায় জানাতাম কে যে আমায় কাঁদায় ............ বুঝলাম শুধু আমি নই – এরকম অজানা ব্যথায় মনখারাপ অনেকেরই হয় ।

বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৩

পুজোয় মন খারাপ ; অমরনাথ কর্মকার , পঞ্চমী, ০৯/১০/২০১৩

পুজোয় মন খারাপ ; অমরনাথ কর্মকার , পঞ্চমী, ০৯/১০/২০১৩ বয়স বড়জোর ১১-১২ । কয়েকমাস আগেও দেখতাম লক্ষ্মীকান্তপুর লাইনে ট্রেনের কামরায় ওর থেকেও বেশি ওজনের ব্যাগ কাঁধে করে ফটাস জল বিক্রি করতে । ট্রেনের নিত্যযাত্রী হিসাবে লক্ষ্য করতাম ওর পাকা বিক্রেতার মত কথার ফুলঝুরি আর উৎসাহী ক্রেতাদের ওকে নিয়ে নানান হাসি ঠাট্টা । হিতে বিপরীত হতে পারে ভেবে ট্রেনের কামরায় এসব দেখেও চুপ করে থাকতাম । বড্ড মায়া হত ছেলেটাকে দেখে । এর আগে ওর বয়সের ছেলেকে দেখেছি পকেট মারতে গিয়ে ধরা পড়তে । কাঁধে বই ভরতি ব্যাগ না ঝুলিয়ে সামান্য পয়সা উপার্জনের তাগিদে পিঠে ফটাস জলের ভারী ব্যাগ ঝুলিয়ে ট্রেনের কামরায় কামরায় ঘুরে বেড়ানো এই ছেলেটাকে দেখে মনের অনুভূতি হ’ত সম্পূর্ণ অন্য রকম । একদিন প্লাটফর্মে ওকে একা পেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম – কিরে স্কুলে যাস না ? সঙ্গে সঙ্গে মাথা নিচু করে খুব নিচু গলায় উত্তর দিল – না, বাড়িতে মা’র অসুখ – বাবা নেই – তাই ফটাস জোল বিক্রি করি । মা বলেছে মা’র শরীর ভাল হলে আবার আমি ইস্কুলে যাব । তারপর মাথা তুলল যখন তখন দেখলাম ওর হাসি মাখা মুখে তখনও জেগে আছে এক রাশ স্বপ্ন । শুনলাম, মনটা খারাপ হ’ল এবং প্রাত্যহিক নানান অভিজ্ঞতার মত এটিও স্মৃতির অতলে তলিয়ে গেল । তারপর বেশ কয়েকটা মাস ওর দেখা পায়নি । ওর দীর্ঘ অনুপস্থিতি মনে বেশ আশার উদ্রেক করেছিল । ভেবেছিলাম এতদিনে নিশ্চয়ই ওর মায়ের শরীর ঠিক হয়ে গেছে আর ছেলেটাও আবার স্কুলে যাচ্ছে । আসলে অবসর সময়ে গতানুগতিকতার বাইরের কিছু ঘটনা মনের জানালায় উঁকি দিয়ে যায় মাঝে মাঝে । তারপর কর্মব্যস্ততায় কখন বেমালুম হারিয়ে গেছে মন থেকে ! আজ পঞ্চমী । অফিসের প্রবল কাজের চাপ সামলে এবং আগামী কাল ষষ্ঠীর দিনেও অফিসে হাজিরা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যখন বাড়ি ফিরছি, পাড়ার আলোকময় পুজো প্যান্ডেলের একপাশে দেখলাম একটা বাচ্চা ছেলে মুখে ফুঁ দিয়ে বুদবুদ তৈরি করছে আর বুদবুদ তৈরির যন্ত্র বিক্রি করছে । ছেলেটাকে কেমন যেন চেনা মনে হ’ল । কাছে গিয়ে বুঝতে পারলাম সেই ছেলেটা – যাকে ট্রেনের কামরায় দেখেছি ফটাসজল বিক্রি করতে । নতুন পোষাকে সেজে পুজোর আনন্দে আপ্লুত হয়ে ওর সামনে দিয়ে তখন কত ছেলে মেয়ের দল বাবা-মায়ের হাত ধরে ঠাকুর দেখতে চলেছে । ওর পরনে ছেঁড়া হাফ-প্যান্ট আর পুরনো একটা জামা । কাছে যেতেই বুঝলাম চিনতে পেরেছে আমাকে । মাথায় হাত রেখে জিজ্ঞাসা করলাম – কিরে মায়ের শরীর ভাল হয়নি ? দেখলাম ওর চোখে জল । বলল, মা মারা গেছে – এখন মসির বাড়ি থাকি । হাতে দুটো একশো টাকার নোট দিয়ে বললাম – পুজোর পর আমার বাড়িতে আসবি । মাথা নাড়ল ও । ইচ্ছে আছে ওকে স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করার । মনটা এবার আবার খারাপ হ’ল । পুরো পুজো জুড়ে মনে বাজবে মন খারাপের সুর । আবার মনকে প্রবোধ দেওয়ারও চেষ্টা করছি – ছেলেটা যে বুদবুদ তৈরি করছিল, বোধহয় ওর জন্য ওটাই আদর্শ । কারন ওদের স্বপ্নগুলো তো বুদবুদের মতোই ফেটে যায় ! আর শিশুশ্রম ? আইনের পাতায় তার উপাস্থিতি কাগুজে বাঘের মত আপাত ভয়ঙ্কর হলেও বাস্তবে তার উপস্থিতি ভিজে বেড়ালের মতো ।

মুখ চাপা সত্য

 মুখ চাপা সত্য শেষ দিয়ে সত্যের শুরু  নাকি সত্যের চির সমাধি?  নাকি মুখ চাপা সত্যের গোঙানি স্পষ্ট বাক্যে শোনা যাবে একদিন?