মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৭

শিত সকাল



শিত সকালে মুখ দিয়েছি চায়ের কাপে
মনটা কেমন উদাস লাগে উত্তাপে।


                                                    অ.না.. ২৩/০১/২০১৭

শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৭

প্রতিটি মুহূর্ত কাটে তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখে

প্রতিটি মুহূর্ত কাটে তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখে - অ না ক ১৫/০১/২০১৭


আমার প্রতিটি মুহূর্ত কাটে তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখে,
নুয়ে পড়া ঘাড়, একটা বাক্যহীন খিদে
আকাশ আমার কাছে এখন বিস্মৃতপ্রায় অলৌকিক বস্তুর মত ।
আমার দৃষ্টি বাধা পড়ে আছে শুধু নোংরা আবর্জনার দিকে ।
আমার বিচরণ ক্ষমতা নেই, কাঁধে অসহ্য যন্ত্রণা
আমার শরীরের ওপর কে যেন বসিয়ে দিয়েছে
একটা বিশাল ওজনের জগদ্দল পাথর –
মাথা নাড়ানোর সাধ্য নেই আমার ।
কিন্তু সেদিন এসব কিছুর অবসান হ’ল আকস্মিক ভাবে ।
কে যেন বৃষ্টির মত শীতল জল ছিটিয়ে দিল আমার শরীরে
যে জরা আমার শরীরের বর্ণ ধূসরিত করেছিল
সব কিছু থেকে আমি মুহূর্তে মুক্ত হলাম ।
এখন, শেষ পর্যন্ত, আমার সর্বক্ষণের তন্দ্রাচ্ছন্নতা থেকে
আমি সম্পূর্ণ জেগে উঠেছি ।

রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

স্বপ্নের রকমফের

স্বপ্নের রকমফের : অ না ক ২৫/১২/'১৬


ঘুমন্ত একটি যুবতি, এক প্রৌঢ়া আর এক বৃদ্ধা,
যুবতির মুখে স্বপ্ন দেখার স্পষ্ট আভাস।
প্রৌঢ়া দেখছে আগামী কালের সংসারের হাজারো ঝক্কি
বৃদ্ধা দেখছে বাড়ির সামনে দিয়ে যমদূতের ফিরে যাওয়া।

মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬

বৈদ্যুতিন সাগরে বন্ধুর মুখ

বৈদ্যুতিন সাগরে বন্ধুর মুখ ভাসে শয়ে শয়ে,
অলস সময় কাটে বাতাসে বার্তা বিনিময়ে,
বাতাসের ব্যাপক ব্যবধান ভুলে নি:সংশয়ে
ওদের বন্ধু ভাবি, তবু থাকি ভয়ে
থাকবে কি ওরা আমার পাশে অসময়ে ?

                                                                                                               অ না ক  ২০/১২/২০১৬

রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

গ্রীষ্ম নাকি হয়ে গেছে রঙবাজ

এখানে আসতে শিতের বড্ড অনীহা আজ,
ও বলেছে গ্রীষ্ম নাকি হয়ে গেছে রঙবাজ।
                                                                 অ.না.ক. ০৪/১২/'১৬

একটি স্মৃতি



        কলেজের সামনে রাস্তার ওপারে ছোট্ট দোকানটা । কলেজে ঢোকার প্রথম দিনেই টিফিন পিরিয়ডে কয়েকজন বন্ধু আমাকে নিয়ে গেল দোকানটাতে । সিগারেটে তখন শিক্ষানবিশই বলা চলে । দোকানদারকে মামা ব’লে সম্বোধন করতে শুনলাম অনেককে । পরে জানলাম তিনি কলেজের ছাত্রদের কাছে বহুদিন আগে থেকেই মামা হয়ে আছেন । তাঁর এই মামা হয়ে ওঠার ইতিহাস জানার ইচ্ছে হয়েছিল একটু কিন্তু কেউ বলতে পারেনি । জানিনা বাড়ির কাজের মহিলাকে যেমন পিসি বলতে শেখানো হয়, এর পেছনেও ওরকম কোন কারন ছিল কি না । মামা কাঠবাঙাল – আমাদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় নিজের ভাষা থেকে একচুল বিচ্যুত হতেন না । কথাবার্তা ছিল ব্যঙ্গাত্মক । কথার মারপ্যাঁচে একেবারে জমিয়ে দিতেন সবাইকে – সেইসাথে ছিল রসাত্মক অঙ্গভঙ্গি । এই কারনেই আশপাশে সিগারেট, লজেন্সের আরও দোকান থাকলেও একমাত্র মামার দোকানেই ছাত্রদের ভিড় লেগে থাকত ।



        প্রায় আড়াই দশক আগে কলেজ ছাড়ার পর থেকে কলেজের রাস্তায় খুব একটা যাওয়া হয় না । মাঝে মাঝে দিনের বেলায় গাড়িতে ওই রাস্তা দিয়ে গেলে দোকানটাকে দেখার চেষ্টা করি । দোকানটা খোলা থাকতেও দেখি । কিন্তু দোকাদারের চেহারা দেখে মনে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় – এই কি সেই মামা নাকি অন্য কেউ । মামা কি এখনো জীবিত আছে ? চেহারাটা সেই মামার মতই লাগে অনেকটা । নাকি “ভারতবর্ষ” গল্পের সেই “ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে” ?



        আজ একটা কাজে কলেজের কাছে যেতে হয়েছিল । সিগারেটে এখন আমার আসক্তি নেই । তবুও কেন  জানিনা কলেজের কাছে এসে খুব সিগারেট খেতে ইচ্ছে হ’ল আজ । গেলাম সেই মামার দোকানে । দেখলাম বৃদ্ধ দোকানদার আমাকে ‘আপনি’ সম্বোধনে বাঙাল ভাষায় কথা বলছেন । সিগারেট ধরিয়ে ওখানেই দাঁড়িয়ে ভদ্রলোকের সঙ্গে নানান কথা ব’লে বোঝার চেষ্টা করলাম তিনিই সেই মামা কি না । কথা প্রসঙ্গে অতীত আর বর্তমানের ছাত্রদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ের তুলনা উঠে আসল । পরিস্কার হয়ে গেল আমার কাছে, ইনিই সেই মামা । আড়াই দশক আগেকার আমার পরিচয় দিলে তিনি আমাকে যে চিনতে পারবেন না সেটা নিশ্চিত জেনেও পরিচয়টা দিলাম । অবাক বিষ্ময়ে লক্ষ্য করলাম তিনি আমার নামটাও মনে রেখেছেন । মামাকে আমার মনে রাখা সহজ কিন্তু তাঁর পক্ষে এত বিপুল সংখ্যক ছাত্রদের নাম মনে রাখা অসম্ভব হওয়াটাই স্বাভাবিক । কিন্তু আমার নামটা তাঁর মনে থাকল কি ক’রে এই প্রশ্নটাই আমাকে আজ সারাদিন ধ’রে ভাবাচ্ছে ।


মুখ চাপা সত্য

 মুখ চাপা সত্য শেষ দিয়ে সত্যের শুরু  নাকি সত্যের চির সমাধি?  নাকি মুখ চাপা সত্যের গোঙানি স্পষ্ট বাক্যে শোনা যাবে একদিন?