অতীত আমাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষক
অমরনাথ কর্মকার ০৫/০৮/২০২৩
শিক্ষকের সংজ্ঞা পাল্টেছে আজ। আমাদের ছোটবেলায় শিক্ষককে দেখতাম ছাত্রের জীবন গড়ার জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা করতেন। টালি বা টিনের ছাদ দেওয়া ঘরে কোনরকমে সংসার চালানো জীবন গড়ে তিনি তাঁর ছাত্রদের জীবন গড়ার কারিগর হিসাবে কাজ করতেন। কিন্তু জীবন আর জীবিকা এই দুইএর মেলবন্ধন না হ'লে আজকের দিনে জীবন অথর্ব। শুধু জীবনের মূল্য কেউ দেয় না। কোন শিল্পী, কবি তাঁদের প্রত্যেকের মহান জীবনের মূল্য তখনই তাঁরা পান যখন তাঁদের এই জীবন থেকে জীবিকা আসে। তাই আজকাল শিক্ষককে শুধু জীবন নয়, জীবিকা গড়ারও কারিগর হতে হয়, নইলে শিক্ষক হিসাবে তাঁর সার্থকতা নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও চলে জীবনের সাথে জীবিকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই 'জীবন' গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। এখন শিক্ষা মানে এমন কিছু যা শুধুমাত্র জ্ঞানার্জন নয়, যা জীবিকার কাজেও সমান উপযোগি। শিক্ষায় এখন যেহেতু জীবন ক্রমশ গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছে তাই জীবিকার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গিয়ে জীবনের মূল্য কমছে, হারাচ্ছে মানবিকতা, বাড়ছে হানাহানি, লোপ পাচ্ছে মানুষের সহমর্মিতা, সমাজ ছেয়ে যাচ্ছে দুর্নীতিতে। শিক্ষক দিবস প্রতি বছর আসে। ঘটা ক'রে তা পালনও করা হয়। কিন্তু সমাজে ডিগ্রিধারী, উচ্চশিক্ষিতের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হলেও সমাজ ক্রমশ অশিক্ষিত মানুষের দখলে চ'লে যাচ্ছে, সমাজ হচ্ছে কলুষিত। তাই অতীত এখন আমাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন