রবিবার, ১৮ জুলাই, ২০২১
বাংলা সংবাদ চ্যানেল ও রাজনীতি
বাংলা সংবাদ চ্যানেল ও রাজনীতি - অমরনাথ কর্মকার
খুব দুঃখের হলেও সত্যি যে, পশ্চিমববঙ্গের যে কটি জনপ্রিয় বৈদ্যুতিন বাংলা খবরের চ্যানেল আছে তার প্রায় প্রতিটিতেই প্রতিদিন প্রায় সর্বক্ষণ রাজনীতির বাইরে প্রায় কোন খবরই পরিবেশিত হয় না। অবশ্য ব্যবসায়িক দৃষ্টিতে বিচার করলে চ্যানেলগুলির সে প্রবণতা থাকা দোষের কিছু নয়, কারন এ রাজ্যে যা কিছু ঘটে তার পেছনে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনো না কোনো ভাবে রাজনীতি জড়িয়ে থাকে। আর এ রাজ্যের মানুষের মধ্যেও রাজনীতি নিয়ে উৎসাহের অন্ত নেই। এমনকি করোনার কারনে প্রায় সর্বক্ষণ বাড়িতে থাকা কম বয়সীদের মধ্যেও টিভিতে দেখানো রাজনৈতিক খবরের প্রতি আকৃষ্ট হবার প্রবণতা বেড়ে গেছে। বাড়ির মহিলাদের অনুরাগ অবশ্য অন্য চ্যানেলগুলিতে যেখানে বিকেল থেকে রাত অবধি সিরিয়ালি সিরিয়াল দেখানো হয়। তাঁদের মন্ত্রমুগ্ধ দৃষ্টি থাকে সেই সমস্ত সিরিয়ালের দিকে। আমি একেবারে মধ্য বা নিম্ন মধ্যবিত্ত, ইংরেজী ভালোভাবে না বোঝা পাতি বাংলাভাষী দর্শক-শ্রোতাদের কথা বলছি। সুতরাং বলাই বাহুল্য কেবল বা ডিশ টিভির দৌলতে সহজলভ্য ভারতীয় অন্যান্য ভাষা বা আন্তর্জাতিক ইংরেজী চ্যানেল থাকলেও রিমোট কন্ট্রোলের বোতামে অবশ্যই এদের বাংলা চ্যানেলে চাপ পড়ে যায়। সন্ধ্যের পরে খবরের চ্যানেলগুলিতে নিয়মিত বসে রাজনৈতিক বিতর্কের আসর। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক বিশ্লেষক আর সেলিব্রিটিদের নিয়ে এই বিতর্কে বিষয়ের উপর যুক্তি, পাল্টা যুক্তিতে সমাধানহীন উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলে দীর্ঘক্ষণ, তার মধ্যে রাজনীতি পর্যবশিত হয় ব্যক্তিগত আক্রমণে, কখনো মেজাজ হারিয়ে চলে গালাগাল। ফলে এই লোভনীয় বিতর্ক দেখার আকর্ষণে আট থেকে আশি কেউই টিভির পর্দা থেকে চোখ সরান না। আম জনতার রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাজনীতি ঢুকে যাওয়ার পক্ষে, অতএব, এই টিভি চ্যানেলগুলির এই ধরণের অনুষ্ঠান যথেষ্ট। খবরের কাগজ খুললেও সেই একই দৃশ্য, প্রায় পুরো কাগজ জুড়েই শুধু রাজনীতি আর রাজনীতি। টিভি চ্যানেলগুলিতে আজ যা দেখানো হয় প্রায় সেই সমস্ত খবরই পরের দিন স্থান পায় খবরের কাগজে। ফলে অনেকেই খবরের কাগজ পড়ার প্রয়োজন বোধ করেন না। দু'একটি সংবাদপত্র বাদ দিলে কোন কাগজেই বাংলা সাহিত্যের আকর্ষক উৎকর্ষ প্রকাশ পায় না। ফলে টিভিতে খবর দেখা আর কাগজে খবর পড়ার মধ্যে পার্থক্যহীনতার কারনে টিভি দেখে চোখের আরাম অনুভব করাকেই অনেকেই শ্রেয় ব'লে মেনে নিয়েছেন। পাড়ার আড্ডায়, পার্কে, চায়ের দোকানেও টিভি চ্যানেলের কায়দায় যুক্তি, পাল্টা যুক্তিতে রাজনৈতিক বিতর্কের আসর সরগরম হয়ে ওঠে। এ রাজ্যের বাংলা খবরের চ্যানেলগুলিতে যে খবর সম্প্রচারিত হয় তার বেশিরভাগটাই এ রাজ্যের। মাঝে মাঝে উল্লেখযোগ্য কিছু সর্বভারতীয় খবর প্রচারিত হলেও তা অরাজনৈতিক হ'লে খুব একটা গুরুত্ব পায় না। আর আন্তর্জাতিক খবর! তা প্রায় ডুমুরের ফুল। দুনিয়া কাঁপানো কোন খবর হ'লে তার সম্প্রচার কয়েক পলকেই শেষ হয়ে যায়। এই ধরণের খবর দেখার জন্য টিভির পর্দার নীচের অংশের চলমান স্ক্রোলে লক্ষ্য রাখতে হয়।
এখন প্রশ্ন একটাই, রাজনীতির বাইরে কি কোন খবর হয় না? সেগুলির জন্যও তো একটু সময় দেওয়া যায়। বাংলাদেশের অনেক ট্যিভি চ্যানেলে প্রতিদিন আন্তর্জাতিক খবর দেখানো হয় অনেকটা সময় নিয়ে। সেখানে খেলা থেকে শুরু ক'রে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক খবর দেখানো হয়ে থাকে অনেকটা সময় নিয়ে। প্রশ্ন হতে পারে আন্তর্জাতিক খবর দেখার জন্য তো অনেক বিদেশী চ্যানেল রয়েছে। আমি আগেই বলেছি, আমি সেই সমস্ত নিম্ন বা মধ্যবিত্ত বাংলাভাষী মানুষদের কথা বলছি যাঁরা সবচে' ভালো বোঝেন বাংলাভাষা।
বাংলা খবরের চ্যানেলগুলির বোধ হয় রাজিনীতি ছাড়াও রাজনীতির বাইরের এবং দেশী-বিদেশী বিভিন্ন খবর একটু বেশী সময় দিয়ে সম্প্রচার করা উচিৎ। খবরের চ্যানেলগুলি যদি মানুষের মনকে সর্বক্ষণের রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য রাজনীতির বাইরের এবং বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভিন্ন স্বাদের খবর প্রতিদিন নিয়মিত এবং একটু দীর্ঘ সময় ধ'রে পরিবেশন করে তাহলে হয়ত সমাজে সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা যথাযোগ্যভাবে পালন করা হবে। বিশেষ ক'রে কম বয়সীদের জন্য তা হবে যথেষ্ট উপকারী। তবে বাংলার জনপ্রিয় বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমগুলির ভূমিকার পরিবর্তন না হ’লে, আমার বিশ্বাস, বাংলার মানুষের কাছে একদিন রাজনীতিই হয়ে উঠবে প্রধান বিনোদন।
বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১
বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১
রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১
বুধবার, ৩০ জুন, ২০২১
শিশুমনের ভাবনা
শিশুমনের ভাবনা – অমরনাথ কর্মকার ০১/০৭/২০২১
ছোটবেলায় আমার এক অদ্ভুত ধারণা জন্মেছিল। ব্যাপারটা হাস্যকর মনে হ’তে পারে কিন্তু আমার ছেলেবেলার সেই বিশ্বাসের সঙ্গে আজকের বাস্তবের বৈপরিত্য অনুভব করলেও ভেতর ভেতরে তা মেনে নেওয়ার ব্যাপারে যে দ্বিধা জন্মায় তা আমাকে কেমন যেন শৈশবের মানসিকতা ফিরিয়ে দেয়। ব্যাপারটা তাহলে একটু খোলসা ক’রে বলি। ছোটবেলায় দেখেছি বাড়িতে কারো অসুখ-বিসুখ হ’লে বাবা তাঁর এক ডাক্তার বন্ধুকে নিয়ে আসতেন। ডাক্তারবাবু আসছেন জানতে পারলে আমি এবং আমার মত ছোটরা রাস্তার ধারে সাগ্রহে অপেক্ষা করতাম কখন বাবার সঙ্গে রিক্সায় চ’ড়ে ডাক্তারবাবু আসবেন। ডাক্তারবাবুর ধবধবে সাদা ধুতি-পাঞ্জাবী পরিহিত, উঁচু পেট সমৃদ্ধ, স্থূলকায় লম্বা চেহারা আমাদের কাছে যেমন আকর্ষক ছিল তেমনি আকর্ষণের বস্তু ছিল ডাক্তারবাবুর সঙ্গে থাকা পেটমোটা ব্যাগটা। বেশ মনে আছে, আমার ঠাকুমার যখন খুব শরীর খারাপ হ’ল, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে প্রায় মৃত্যুপথযাত্রী, বাড়িতে কান্নাকাটির ধুম পড়ে গেছে তখন ডাক্তারবাবুর আগমনে বাড়ির থমথমে পরিবেশটা কেমন যেন পাল্টে গেল। সবার দেখাদেখি আমার মনও খারাপ হয়ে গিয়েছিল, আমার চোখেও জল এসেছিল । ডাক্তারবাবু এসেই স্টেথিস্কোপ নামক যন্ত্র দিয়ে ঠাকুমার বুক পরীক্ষা ক’রে নিলেন। তারপর বড় একটা ইঞ্জেকশান বার ক’রে ঠাকুমার হাতে ঢুকিয়ে দিলেন। ডাক্তারবাবুর নির্দেশে সবাই ঠাকুমার কাছে না থাকলেও দূর থেকে ডাক্তারবাবুর কার্যকলাপ আর ঠাকুমার পরিস্থিতির পরিবর্তন লুকিয়ে চুরিয়ে দেখার চেষ্টা করছে। আমিও ব্যতিক্রম ছিলাম না। আমার বায়নার কাছে হার মেনে মা আমাকে তুলে দিয়েছিলেন জানলায়। বেশ কিছুক্ষণ বাদে লক্ষ্য করলাম থমথমে মানুষগুলোর মুখ থেকে উদ্বেগের কালো মেঘ সরে গিয়ে সকালের সূর্যের নরম আলোর মত হাসির রেখা ফুটে উঠেছে। এবার ঠাকুমার অনেকটা কাছে গিয়ে দেখলাম ঠাকুমাকে। ঠাকুমা উঠে বসেছেন। ডাক্তারবাবুর সঙ্গে দু’একটা কথাও বলছেন। কে যেন বললেন ‘ভাগ্যিস ঠিক সময়ে ডাক্তার এসেছিলেন, না হ'লে বাঁচানো যেত না’। বিশ্বাস করুন, সেই ঘটনা দেখার পর থেকে ডাক্তার সম্বন্ধে এক অদ্ভুত ধারণা জন্মেছিল আমার। ধারণা হয়েছিল, যে ডাক্তার প্রায় মৃত মানুষকে চিকিৎসায় বাঁচিয়ে তুলতে পারেন – তিনি নিজে কখনোই মরতে পারেন না কারন মানুষ বাঁচানোর কৌশল তো তাঁর জানা। তার পর থেকে অনেক বছর পর্যন্ত ডাক্তার সম্বন্ধে এই ধারণাই পোষণ ক’রে আসতাম।
এখন বুঝি, ডাক্তারদের অমরত্ব নিয়ে ছোটবেলা থেকে আমার পোষিত ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। কথাটা বললাম বটে, কিন্তু সেই ভ্রান্তি স্বীকার করতে দ্বিধা বোধও হয়। কারন এখনও আমরা দেখি কত মৃত্যুপথযাত্রী মানুষকে ডাক্তাররা তাঁদের সুচিকিৎসায় বাঁচিয়ে তুলে নতুন জীবন দান করেন। সে ক্ষেত্রে ডাক্তারবাবুরা তো ঈশ্বরেরই সমান। তা’হলে তাঁরাও তো অমরত্বের অধিকারী। সুতরাং আমার ছেলেবেলার সেই বিশ্বাসের সত্যতা বাস্তবিক অস্বীকার করারও উপায় নেই।
আসলে শিশু মনে যে কল্পনার জগৎ তৈরি হয় তা তার দেখা ছোট্ট গন্ডীর বাস্তবতা থেকে নেওয়া। কারন গল্প শুনে, বই প’ড়ে তবেই শিশুর কল্পনার জন্ম নেয়। কিন্তু তার দেখা পারিপার্শ্বিক ঘটনাবলী থেকে শিশুর মনে উদ্ভুত ধারণা সব সময়ই যে অমূলক হবে তার কোন মানে নেই। হয়ত তার ধারণার স্বপক্ষে উপযুক্ত যুক্তি দেওয়ার ক্ষমতা তার মধ্যে নেই, কিন্তু তার ধারণার যুক্তিগ্রাহ্যতা থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
আমার এই উপলব্ধি থেকেই এখনোও কোনও বাচ্চার ধারণাগুলোকে বোঝার চেষ্টা করি, তার ধারণা জন্ম নেবার প্রেক্ষিত খোঁজার চেষ্টা করি, ধমক দিয়ে তার ধারণাকে ভ্রান্ত প্রমাণ করার চেষ্টা না ক’রে বরং তার বিশ্বাসকে মূল্য দিয়ে তার মত ক’রে তার ধারণার সত্যাসত্য ব্যাখ্যা ক’রে তার ধারণাকে সংশোধন ক’রে দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে আমি খেয়াল ক’রে দেখেছি বাচ্চাদের মধ্যে জন্ম নেওয়া ধারণার মধ্যে কিছু যুক্তি থাকে যা তার দেখা, শোনা বা পড়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ।
ছোট্ট একটা উদাহরণ দিচ্ছি। আমার এক বন্ধুর বাবার মৃত্যুতে আমি শ্মশানযাত্রী। পরিবারের অনেকের সঙ্গে বছর নয়-এর একটি ছেলেও যাচ্ছে আমাদের সঙ্গে। বন্ধুর অনুরোধে যাত্রাপথে সেই বাচ্চা ছেলেটির দেখভালের দায়িত্ব পড়ল আমার ওপর। হিন্দু শাস্ত্রের নিয়ম মেনে শব যাত্রায় মাঝে মাঝেই রাস্তায় খই, পয়সা ছিটানো হচ্ছিল। আর সেই সময় কিছু দরিদ্র মানুষ পয়সা কুড়িয়ে নিচ্ছিল রাস্তা থেকে। ব্যপারটা অনেকক্ষণ লক্ষ্য করার পর ছেলেটি একসময় আমায় প্রশ্ন ক’রে বসল, ‘আঙ্কেল, মানুষ মারা গেলে সব টাকা ফেলে দিতে হয়?’ বুঝলাম এটা ওর বিশ্বাস। দেখলাম বিশ্বাসটা অমূলক নয়। তার এই বিশ্বাসের স্বপক্ষে যুক্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করলাম। সত্যি বলতে কি আমি এর পৌরাণিক ব্যাখ্যা জানি না। তাই একটু অন্যভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলাম। আমি মুচকি হেসে একটু প্রসঙ্গান্তরে এলাম। ওর কাছ থেকে জেনে নিলাম ও ইতিহাসে আলেকজান্ডার সম্বন্ধে পড়েছে কি না। উত্তর শুনে জানলাম আলেকজান্ডার সম্বন্ধে সে অনেকটাই জানে। তারপর আলেকজান্ডারের সেই অন্তিম ইচ্ছার কথা বললাম। মেসিডোনিয়ার রাজা বীর আলেকজান্ডার ব্যাবিলনে দ্বিতীয় নেবুচাদ নেজারের প্রাসাদে যখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বরণ করার আগে তিনি তাঁর যে শেষ তিনটি ইচ্ছার কথা বলেছিলেন তার অন্যতম ছিল – তাঁর কফিন যে পথ দিয়ে যাবে সেই পথে তাঁর কোষাগারের জমানো সমস্ত সম্পদ রাস্তায় ফেলে দিতে হবে। কারন তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, মৃত্যুর সময় মানুষ কিছুই সঙ্গে নিতে পারে না। জীবদ্দশায় শুধুই ধন সম্পদের পেছনে ছোটা আসলে সময়ের অপচয়। এত গূঢ় কথা ওইটুকু বাচ্চার মাথায় ঢোকানো উচিৎ হবে না ভেবে ব্যাপারটাকে লঘু ক’রে এবার অন্য ভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলাম। ওকে বললাম – দেখ তোমার দাদু খুব গুনী মানুষ ছিলেন। বড় মাপের শিক্ষক ছিলেন। তাঁর কথা সবাই মনে রাখবে। কিন্তু শুধু অনেক টাকা পয়সা রোজগার ক’রেই যারা জীবন কাটায় তাঁদের কথা কেউই মনে রাখে না। রাস্তায় যে খই আর পয়সা ছেটানো হচ্ছে তার মানে মানুষকে বোঝানো যে টাকা পয়সা সারাজীবন থাকে না কিন্তু ভাল কাজ করলে তাঁর সম্মান মৃত্যুর পরেও থেকে যায়। শেষে বললাম তুমিও বড় হয়ে মানুষের জন্য অনেক বড় কাজ করবে তাহলে দেখবে অনেক সম্মান পাবে। ছেলেটার মুখে একরাশ সরল লাজুক হাসি দেখলাম। কে জানে কি বুঝল।
শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১
ও মন্ত্রী মশাই আমরা মুক্তি চাই
ও মন্ত্রীমশাই
আমাদের শেখার দরজা বন্ধ রেখেছ তাই
খাওয়া ঘুম খেলাতেই কাটে পুরো দিনটাই।
এখন জ্ঞানের উৎস পাশে নিয়ে আর হয় না বসা
কাটছে তাদের আলমারীতে বন্দী জীবন দশা।
এমন জীবন চাই না আমরা, মুক্তি চাই।
ও মন্ত্রীমশাই...
মুখোশে ঢাকা পৃথিবীটা বড্ড বিশ্রী দেখতে লাগে
খোলা হাওয়ায় মুক্তির স্বাদ নিতে ইচ্ছে জাগে
দূরত্ব আজ দেয়াল তুলেছে বন্ধুতার মাঝখানে
মনে হয় সে দেয়াল ভেঙে দিই একটি হ্যাচকা টানে।
মনে হয় এই ছোট হাতে পৃথিবীটা পাল্টাই।
ও মন্ত্রীমশাই...
নিয়ম মেনে খুলছে দোকান, চলছে গাড়ি, চলছে কর্মশালা
আমরাই শুধু বন্দী খাঁচায়, স্কুলের গেটে ঝুলছে তালা।
করোনার সাথে যুদ্ধ জিততে আমরাও আছি পাশে
ছোট্ট আমরা তবুও কিন্তু ভয় পাইনা করোনার ত্রাসে।
ফিরিয়ে দাও সত্যিকারের শৈশব
অনুরোধ একটাই।
ও মন্ত্রীমশাই...
--- অমরনাথ কর্মকার ০৭/০৬/২০২১
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
মুখ চাপা সত্য
মুখ চাপা সত্য শেষ দিয়ে সত্যের শুরু নাকি সত্যের চির সমাধি? নাকি মুখ চাপা সত্যের গোঙানি স্পষ্ট বাক্যে শোনা যাবে একদিন?
-
এক লাইনের কাব্যঃ অ.না.ক. ২১/০৩/২০১৭ এক লাইনেও কাব্য হয় দু'লাইনে ছন্দময় ।