আজ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ বছরের অন্তিম সূর্যাস্ত দেখছিলাম বকখালির সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে। বছরটা আজই হারিয়ে গেল। হারানোর যন্ত্রনাটা যেমন থাকে তেমনি আসন্ন নতুনকে দেখার আনন্দ মিশ্রিত প্রত্যাশাও থাকে। বর্তমানের অতীত হওয়া অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু অতীত যদি ব্রাত্য হয় তা বেদনার। অতীত নতুনের কারিগর। তাই অতীত শ্রদ্ধেয়। সেই কারনে প্রয়াত মহান মানুষদের স্মরণ করার সময় তাঁদের ছবি রাখি, প্রতিকৃতি স্থাপন করি। হারিয়ে যাওয়া অতীত যখন হাজির হয় বর্তমানে, তখন সে আনন্দের সীমাপরিসীমা থাকে না। বর্তমান বছরের শেষ সূর্যাস্ত যখন সাগরের দিগন্তে শোভা বিস্তার করছে তখন সমুদ্র সৈকতে এক বৃদ্ধকে দেখলাম বায়োস্কোপ নিয়ে খরিদ্দারের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষমান। কৌতুহলে কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,”এখন বায়োস্কোপ দেখতে কেউ আসে?” বৃদ্ধ সহাস্যে উত্তর দিলেন,” হ্যাঁ অনেকেই আসে।“ শুনে যারপরনাই পুলকিত হলাম। আধুনিক প্রজন্মের কেউ এই বায়োস্কোপ সিনেমায় ছাড়া বাস্তবে দেখেছে ব’লে মনে হয় না। জানিনা, গ্রামের বাচ্চারা দেখতে আসে কি না। এর পর বেশ কিছুক্ষণ সমুদ্রসৈকতে কাটিয়ে যখন ফিরছি তখনও দেখলাম বৃদ্ধ বায়োস্কোপ নিয়ে বসে আছেন একা, বায়োস্কোপে চোখ রাখার মত কোন খরিদ্দার চোখে পড়ল না। ২০২৩-এর বিদায় বড্ড বিষন্ন লাগল।