রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১
শিক্ষক হ'তে পারিনি
পড়িয়েছি - শিক্ষক হ'তে পারিনি
অমরনাথ কর্মকার ০৫/০৯/২০২১
'শিক্ষক দিবস' চ'লে গেল আজ। ছাত্র পড়িয়েই আমার ছাত্র-জীবনের শেষ দিকে আমার শিক্ষকের মাইনে দিয়েছি। বেকারত্বের জ্বালাও জুড়িয়েছি অনেক দিন। সঙ্গে ছিল নিজের জানাটাকে অন্যের মধ্যে সঞ্চালনের প্রতি আগ্রহ। প্রতিবছরই 'শিক্ষক দিবস' এলে আমার ফেলে আসা অতীতের শিক্ষকদের স্মরণ করি আমার অদক্ষ লেখনিতে। তাঁদের অনেকেই আজ আকাশের ধ্রুব তারা - অলক্ষ্যে আমার পথপ্রদর্শক। জীবনের প্রতিষ্ঠা বলতে সাধারণত যা বোঝায় তা আমি পাইনি। আবার কিছুই পাইনি তাও নয়। সাধারণভাবে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকায় হয়ত অসুবিধা নেই। তবে আজ একটা জিনিস স্পষ্ট হ'ল - আমি ছাত্র পড়িয়েছি বটে, শিক্ষক হ'তে পারিনি। আমার ছাত্র-ছাত্রীরা আজ অনেকেই প্রতিষ্ঠিত, হাতে গোনা দু'একজন বাদ দিলে অনেকেই আমাকে ভুলে গেছে। ভোলারই কথা কারন তারা অর্থের বিনিময়ে আমার কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছে, বলা ভাল শিক্ষা কিনেছে। অতএব, শিক্ষক- ছাত্রের এই ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্কই আজকের দিনে বাস্তব। বিক্রেতার কাছে ক্রেতা লক্ষ্মী। আর ক্রেতার কাছে বিক্রেতার মূল্য নগন্য। অনেক দুঃখ নিয়ে কথাগুলো লিখলাম। আজ আমার এক বন্ধুর মুখেও একই আক্ষেপ শুনলাম। একসময় প্রাইভেট টিউশানিতে ওর ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। ও দুঃখ করেছে - আর আমি আমার দুঃখ লিখেই ফেললাম। আসলে মনটা স্বাধীন - হা হা ক'রে বিকট আওয়াজে হাসতে পারে, বুক ফাটিয়ে কাঁদতেও পারে। সে আওয়াজ কেঊ শোনে না - শোনে আমার হৃদয়।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
মুখ চাপা সত্য
মুখ চাপা সত্য শেষ দিয়ে সত্যের শুরু নাকি সত্যের চির সমাধি? নাকি মুখ চাপা সত্যের গোঙানি স্পষ্ট বাক্যে শোনা যাবে একদিন?
-
এক লাইনের কাব্যঃ অ.না.ক. ২১/০৩/২০১৭ এক লাইনেও কাব্য হয় দু'লাইনে ছন্দময় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন