বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২

আজ (২৭/০৭/২০২২) মিলল সম্মাননা


 শিরোনামঃ নবজাতকের নামকরণ

কলমেঃ অমরনাথ কর্মকার

তারিখঃ ২৭/০৭/২০২২


নবজাতকের নামে অভিনবত্ব আনার ব্যাপারে আজকাল কমবেশি সকলেই বেশ সচেতন । বিশেষত শহুরে অভিভাকদের মধ্যে সন্তানের নামকরণে ব্যতিক্রম এবং আকর্ষণ আনার মরিয়া চেষ্টা । কখনো গল্প উপন্যাসের চরিত্র, কখনো রামায়ন-মহাভারতের প্রায় অপরিচিত অথচ অভিনব নাম খুঁজে সন্তানের নামে বৈচিত্র আনার প্রতিযোগিতা চলে শহরাঞ্চলে । এখন তো সন্তান জন্মালেই ইন্টারনেটে নতুন নতুন নাম খোঁজার ধুম পড়ে যায় । সত্যি বলতে কি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো আসলে নিজেদের রুচি, সংস্কৃতি এসব জাহির করার চেষ্টা মাত্র । আরে বাবা, রাম, শ্যাম, সুনীল, কমল এসব নাম রাখলে কি সন্তান বড় হবে না, নাকি এসব নাম বংশের মর্যাদা রক্ষায় অক্ষম । জানি নামে কিছু আসে যায় না, তবুও নাম নিয়ে নাচানাচি । গ্রামের লোকের মধ্যে এই প্রবনতা এখনও কম । লুচিমনি, ক্ষান্তমনি, রাম, শ্যাম, যা হোক একটা রাখলেই হ'ল । গ্রামের লোক বার তিথি নক্ষত্র এসব মাথায় রাখেন নামকরণের সঙ্গে । যে কারনে বৃহস্পতি, পূর্ণিমা রবি এই ধরনের নামই সেখানে বেশি শোনা যায় । অবশ্য পৌরাণিক চরিত্র যেমন যুধিষ্ঠির, অর্জুন, লক্ষণ, লক্ষ্মী এই নামগুলো গ্রামের মানুষের মধ্যে অতীব সাধারণ । দারিদ্র আর পরিশ্রমের সঙ্গে যাদের প্রাত্যহিক সংগ্রাম, তাদের সময় বা মানসিকতা কোথায় অভিধান ঘেঁটে সন্তানের নামকরণ করার ? তাই বলে এই নয় যে গ্রামের মানুষের মধ্যে সন্তানের সুন্দর নামকরণ করার মত কেউই নেই । আছে, এবং এমন মানুষও আছে যাদের কাছে শহরের মানুষকেও হার মানতে হবে । আজ অফিসে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়ে এতগুলো কথা লিখলাম । আমার অফিস দঃ ২৪ পরগণার প্রত্যন্ত গ্রামবেষ্টিত অঞ্চলে । অফিসে গ্রামের স্বল্প শিক্ষিত বা নিরক্ষর দিন-আনা-দিন-খাওয়া অনেক মানুষের দরখাস্ত জমা পড়ে বিভিন্ন সরকারী সাহায্যের আবেদন জানিয়ে । স্বভাবতই আবেদনকারীদের বহুশ্রুত নামেও থাকে গ্রাম্য প্রকাশ । কিন্তু আজ এক আবেদনকারীর  নাম দেখে রীতিমত বিষ্মিতই হলাম । প্রথমে ভেবেছিলাম গতানুগতিক বানান ভুল । একটু খুঁটিয়ে দেখে থমকে গেলাম । ইন্টারনেট সার্চ করে দেখলাম ভুল তো নয়ই, নামটি সঠিক, দারুন অর্থবহ এবং আমার কাছে অশ্রুতপূর্ব । আবেদনকারীর নাম ষড়শীতি যার অর্থ ছিয়াশিতম । জানিনা ছিয়াশি সালে জন্ম বলেই এই নামকরণ কিনা । তবে কারন যাই হোক, নামকরণটি যার করা তিনি যে নামকরণের ব্যাপারে তথাকথিত আধুনিক শিক্ষিত রুচিশীল শহরবাসীদের অতি সহজেই টেক্কা দিতে পারেন তা বলাই বাহুল্য ।

মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০২২

গ্রামীন সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথ মজুমদার

 

গ্রামীন সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথ মজুমদার

অমরনাথ কর্মকার

বাংলায় গ্রামীন সাংবাদিকতার পথিকৃৎ হিসাবে কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের নাম আজ বিস্মৃতপ্রায় সারাজীবন অবহেলিত গ্রাম বাংলার শিক্ষা বিস্তারের জন্য এবং ইংরেজ পুঁজিপতিদের শোষনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসাবে তিনিই সম্ভবত প্রথম গ্রাম বাংলায় সংবাদপত্রকে বেছে নেন জন্মেছিলেন অবিভক্ত বাংলার নদীয়া জেলার কুমারখালি গ্রামের কুন্ডুপাড়ায়  ১৮৩৩ সালের  ২২ জুলাই বাবা হরচন্দ্র মজুমদার, মায়ের নাম কমলীনি দেবী উনিশ শতকে বাংলার হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে সত্য এবং তথ্য-ঋদ্ধ সাহসী গ্রামীণ সাংবাদিকতার আদি প্রবাদ পুরুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে প্রায় অচেনা তারগ্রামবার্তা প্রকাশিকাছিল সে সময় ভারতের তমসাচ্ছন্ন গ্রামজীবনের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর একটা ঘটনার উল্লেখ করা যেতে পারে পাবনার ইংরেজ ডিসট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট একবার এক দরিদ্র বিধবার একটি দুধেল গরু জোরপূর্বক কেড়ে নেয় হরিনাথ সেই  অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করেগরু চোর ম্যাজিস্ট্রেটশিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেন এই সংবাদ ছাপা হওয়ার পরগ্রামবার্তা প্রকাশিকাপত্রিকা সম্বন্ধে তৎকালীন পাবনা জেলার ম্যাজিস্ট্রেট মি. হামফ্রে তার চিঠিতে কাঙাল হরিনাথকে লিখেছিলেন, ‘মি. অ্যাডিটর আমি তোমাকে ভয় করি না বটে, তবে তোমার লেখনী পড়ে অনেক কুকর্ম ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি

গ্রামের অশিক্ষিত মানুষদের, বিশেষ রে মহিলাদের শিক্ষিত করার প্রয়োজন বোধ রেন তিনি তাই বন্ধুদের সাহায্যে ১৮৫৫ সালের জানুয়ারি মাসে নিজ গ্রামে একটি ভার্নাকুলার বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এরপর বেশ কিছুদিন ওই বিদ্যালয়েই বিনা বেতনে শিক্ষকতার মহান পেশায় নিয়োজিত ছিলেন পরবর্তীকালে ১৮৫৬ সালের ডিসেম্বর মাসে কৃষ্ণনাথ মজুমদারকে কুমারখালিতে একটি বালিকা  বিদ্যালয় স্থাপন করতে তিনি সহায়তা করেন স্বয়ং ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর সে সময় স্কুলটির উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  সেই বিদ্যালয়টি আজকুমারখালি পাইলট বালিকা বিদ্যালয়নামে বাংলায় নারীশিক্ষার স্মারক হয়ে সগর্বে অবস্থান করছে কুমারখালিতে অত্যন্ত গরিব পরিবারে জন্ম হওয়ার কারনে অর্থোপার্জনের  জন্য তিনি কিছুদিন নীলকর সাহেবের কাছে কাজ করেছিলেন সে সময় কুমারখালিতে নীল চাষ কিন্তু নীল চাষিদের ওপর নীলকর  সাহেবদের অকথ্য অত্যাচার দেখে সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে গ্রামীণ সাংবাদিকতা শুরু করেন ১৮৬৩ সালে প্রথম  গ্রামবার্তা প্রকাশিকানামে একটি পত্রিকা চালু করেন পরবর্তীকালে তা পাক্ষিক এবং পরে সাপ্তাহিক পত্রিকায় রুপ নেয় মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত সেটাই করে গেছেন এক পয়সা মূল্যের এই পত্রিকাটিতে কাঙাল হরিনাথ অবিরাম নীলকর জমিদারদের নানা জুলুমের কথা প্রকাশ করতে থাকেন পত্রিকাটি প্রকাশের সুবিধার্থে তিনি ১৮৭৩ সালে একটি ছাপাখানা স্থাপন করেন, নাম দেন এম,এন, প্রেস (বন্ধু মথুরানাথের নামে) এই ছাপাখানা থেকেই নিয়মিতগ্রামবার্তা প্রকাশিকাছাপা   কাঙাল হরিনাথের পত্রিকাটি সেই সময়ে নির্যাতিত কৃষক প্রজাদের পক্ষের একটি পত্রিকা হিসেবে পরিচিতি পায় কিন্তু সরকারের কঠোর মুদ্রণনীতি নানা বিরোধিতায় ১৮ বছর প্রকাশের  পরগ্রামবার্তা প্রকাশিকাবন্ধ হয়ে যায় কিন্তু সেই ঊনিশ শতকে গ্রামের নির্যাতিত মানুষের পক্ষে এমন একটি পত্রিকা প্রকাশের কারণে কাঙাল হরিনাথ অমর হয়ে আছেন বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার কুমারখালি শহরেকাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরস্থাপন রে কাঙাল হরিনাথের কীর্তি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে কাঙালের সেই ছাপাখানা সেখানে আজও সযত্নে সংরক্ষিত ইতিহাস অনুরাগী বহু মানুষের নিত্য আগমণ ঘটে সেখানে  

কাঙাল হরিনাথ  ছিলেন নিঃস্বার্থ, প্রতিবাদী প্রবল সাহসী হাজার বাধা উপেক্ষা করেও তিনিগ্রামবার্তা প্রকাশিকাপত্রিকার মাধ্যমে ইংরেজ শাসন, নীলকরদের নির্যাতন, জোতদার, মহাজন পুলিশের অত্যাচার-নির্যাতনের কথা নিয়মিতভাবে প্রকাশ  করতেন সত্য-সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি প্রায়ই শাসকগোষ্ঠী জমিদারদের রোষানলে পড়েন কিন্তু অত্যাচার-নির্যাতনের কথা বলতে লিখতে প্রতিবাদে পিছপা হননি লালন ফকির বেশ কয়েকবার কাঙাল হরিনাথকে সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছিলেন লে জানা যায় প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন লালন ফকিরের আখরা আর কাঙাল হরিনাথের বাসস্থানের দূরত্ব খুব বেশি ছিল না কাঙাল হরিনাথ লালনের চেয়ে বয়সে ছিলেন ছোট তবে তাঁদের মধ্যে হৃদ্যতা ছিল অসম্ভব লালনের গান প্রচারে ছিল তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল একবার হরিনাথ লালনকে তাঁর কিছু গান দেখিয়ে বললেন, ‘ভাই, আমার কথাগুলো তোমার কেমন লাগল?’ লালন হেসে উত্তর দিলেন, ‘তোমার ব্যঞ্জন বেশ হয়েছে,  তবে নুনে কিছু কম আছে ছাড়া প্রায় সমসাময়িক এবং স্বল্প দূরত্বে অবস্থান করাবিষাদ সিন্ধু স্রষ্টা মীর মশাররফ হোসেন, অক্ষয় কুমার মৈত্রে, জলধর সেনের সঙ্গেও কাঙাল হরিনাথের সুসম্পর্ক ছিল

তিনি সাংবাদিক-জীবন শুরু করেছিলেন ঈশ্বরগুপ্তেরসংবাদ প্রভাকরপত্রিকায় তাঁরগ্রামবার্তা প্রকাশিকাপ্রকাশের মূল লক্ষ্য কৃষকদের ওপর নীলকর সাহেব জমিদারদের অত্যাচারের কাহিনী প্রকাশ হলেও এই পত্রিকায় দর্শন, সাহিত্য আরোও অনেক বিষয় প্রকাশিত এই পত্রিকায় লালন ফকিরের গানও প্রকাশিত হয়েছে সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি প্রায় ১৮টি বই লিখেছিলেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলবিজয় বসন্ত’, ‘কবিতা কৌমুদী কাঙাল হরিনাথ ছিলেন লালন ফকিরের অনুগামী তিনিকাঙাল ফকির চাঁদের দলনামে একটি বাউল দল তৈরি করেনকাঙাল ফকিরচাঁদ ফকিরের জীবনীনামে একটি বাউল গানের সংকলনও তিনি প্রকাশ করেনহরিনাথের একটি বহুশ্রুত গান হল- ‘হরি দিন তো গেল সন্ধ্যা হল, পার করো আমারে…’যেটি সত্যজিৎ রায় তাঁরপথের পাঁচালীচলচ্চিত্রে ব্যবহার করেছিলেন গানটির রচয়িতার নাম সেই চলচ্চিত্রে উল্লেখ না থাকায় সত্যজিৎ রায় কাঙাল হরিনাথের পরিবারকে দুঃখ প্রকাশ রে চিঠিও লিখেছিলেন প্রখ্যাত লেখক মীর মশারফ হোসেন,জলধর সেন তাঁদের লেখক জীবনের সূত্রপাত করেছিলেন গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকায় মীর মশারফ হোসেনেরবিষাদ সিন্ধুকাঙাল হরিনাথের প্রেসেই প্রথম ছাপা হয় লে জানা যায় এছাড়া শিবচন্দ্র বিদ্যার্ণব,অক্ষয় কুমার মৈত্র, প্রসন্নকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ এই পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন  

লালনকে দেখে, তাঁর গান শুনে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেই বাউল গানের দল গড়েছিলেন কাঙাল হরিনাথ নাম দিয়েছিলেনফিকিরচাঁদ ফকিরের দল সেটি ১৮৮০ সালের কথা সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন অক্ষয় কুমার মৈত্র, জলধর সেন, পন্ডিত প্রসন্ন কুমার প্রমূখ তাঁর দলের গান তখন গ্রামের মানুষদের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল হরিনাথের মধ্যে ছিল আধ্যাত্মিক চিন্তাধারা তাঁর বাউল গানে তিনি নিজেকেকাঙাললে উপস্থাপন করতেন লেই তাঁর নামের আগে কাঙাল শব্দের সংযোগ ঘটে

কাঙাল হরিনাথের জন্মস্থান কুমারখালি থেকে শিলাইদহের দূরত্ব বেশি নয় হরিনাথ মজুমদার ওরফে ফিকির চাঁদ ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অগ্রজ, সমকালিন শোনা যায় হরিনাথ মজুমদারের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না কথিত আছে, সম্পর্ক এতটাই অবনতি হয়েছিল যে কবিগুরু হরিনাথ মজুমদারকে তাঁর কুঠিবাড়িতে ধরে আনার জন্য লাঠিয়াল বাহিনী পাঠিয়েছিলেন কুমারখালি অঞ্চলে বহু ইতিহাস বিখ্যাত বিশিষ্ট মানুষের জন্ম হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি . রাধা বিনোদ পাল, ১৮৬০ সালের নীলবিদ্রোহের নেত্রী প্যারী সুন্দরী, বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (বাঘা যতীন), কাপড়ের কলমোহিনী মিলস্এর প্রতিষ্ঠাতা মোহিনী মোহন চক্রবর্তী, গায়ক গগন হরকরা, ইতিহাসবিদ,আইনজীবি সাহিত্যিক অক্ষয় কুমার মৈত্র, আনন্দবাজার পত্রিকার প্রথম সম্পাদক প্রফুল্ল কুমার সরকার এবং আরোও অনেক বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রখ্যাত মানুষজন

"গ্রামবার্তা প্রকাশিকা" সংবাদপত্রটি  ঊনিশ শতকে তৎকালীন সময়ের গ্রাম বাংলার দর্পণ  হিসেবে কাজ করতো এই বিষয়ে হরিনাথ মজুমদারের ভূমিকা অপরিসীম কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের মৃত্যু হয় ১৬ এপ্রিল, ১৮৯৬ আজ সংবাদপত্র আর পত্র-পত্রিকার প্রাচুর্যের ভিড়ে কাঙাল হরিনাথের কথা বিস্মৃত লে বাংলার গ্রামীন সাংবাদিকতায় তাঁর অবদানকে অবমাননা করা হয় কারন গ্রামের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, তাঁদের ওপর শাসক জমিদারদের নীপিড়নের প্রতিবাদে নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে তিনি যে সাহস দেখিয়েছিলেন তা আজকের দিনেও অনুসরণযোগ্য   

 

অমরনাথ কর্মকার ১২/০৭/২০২২

 

মুখ চাপা সত্য

 মুখ চাপা সত্য শেষ দিয়ে সত্যের শুরু  নাকি সত্যের চির সমাধি?  নাকি মুখ চাপা সত্যের গোঙানি স্পষ্ট বাক্যে শোনা যাবে একদিন?