সোমবার, ১২ জুন, ২০১৭

কোনটা তোমার প্রিয়?

কোনটা তোমার প্রিয়?  অ.না.ক. ১২/০৬/'১৭

চোখ ঝলসানো প্রখর রোদের তাপ
নাকি স্নিগ্ধ সজল বৃষ্টিধারা,
নাকি রোদের সাথে মেঘের লুকোচুরি?
কোনটা তোমার প্রিয়?
এখন যদি নাও পার
একসঙ্গে চলার পথের প্রান্তে এসে
উত্তরটা দিও।

সোমবার, ২৯ মে, ২০১৭

বৃষ্টি তুমি একলা কেন ?

বৃষ্টি তুমি একলা কেন: অ.না.ক.২৫/০৫/২০১৭

বৃষ্টি তুমি একলা কেন, সঙ্গে কোথায় ঝড়?
নাকি আগেই ঝড় থেমেছে, তুমি অত:পর?
নাকি আছে ঝড়ের আভাস সেই কারনেই তুমি
ভাসিয়ে দিচ্ছ তোমার জলে শুষ্ক যত ভুমি?
শান্ত বাতাস মেশে যখন তোমার ধারার সাথে
শান্তিতে মন জুড়িয়ে যায়,
তবু ঘুম আসে না রাতে
যখন আমার চোখের জলে বালিশ ভেজে
টের পাই না মনের মেঘে ঝড়ের কারন কে যে।

শুক্রবার, ১৯ মে, ২০১৭

রাজনীতি

রাজনীতি: অ.না.ক. ১৯/০৫/'১৭


নীতির রাজা রাজনীতি
নাকি এটা রাজার নীতি?
সংশয়ে মন সন্দিহান
নীতির মূল্য হ্রাসমান
প্রমাণ দিচ্ছে পরিস্থিতি।

শনিবার, ৬ মে, ২০১৭

বন্ধুত্ব

                                                                            বন্ধুত্ব : অ না ক
বন্ধুত্ব বলিতে তিনটি পদার্থ বুঝায়। দুই জন ব্যক্তি ও একটি জগৎ । অর্থাৎ দুই জনে সহযোগী হইয়া জগতের কাজ সম্পন্ন করা। আর, প্রেম বলিলে দুই জন ব্যক্তি মাত্র বুঝায়, আর জগৎ নাই। দুই জনেই দুই জনের জগত্। ... ইহা ছাড়া আর একটা কথা আছে—প্রেম মন্দির ও বন্ধুত্ব বাসস্থান। মন্দির হইতে যখন দেবতা চলিয়া যায় তখন সে আর বাসস্থানের কাজে লাগিতে পারে না, কিন্তু বাসস্থানে দেবতা প্রতিষ্ঠা করা যায়।– কথাগুলো বলেছেন রবীন্দ্রনাথ। সত্যিই তো বন্ধুত্ব মানে একটা নতুন জগতের সৃষ্টি । অনেকটা ঢাকের বাঁয়ার মত । যেকোন একজনের অনুপস্থিতি এই নতুন জগৎ সৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে । জীবনের পথে চলার সময় এই বন্ধুত্বই আমাদের অতুলনীয় পাথেয় । সেই ছোট্ট বেলায় বন্ধু পেলে কান্না থামত, বন্ধু পেলে আনন্দে ভরত মন । তারপর স্কুল, কলেজ সর্বত্র চলেছে বন্ধুর সন্ধান আর সেই বন্ধুত্বের হাত ধরেই চেনা জগতের গণ্ডি পেরিয়ে চলে গেছি অন্য জগতে – কল্পনা আর বাস্তব মেশানো এক অন্য রকম জগৎ । এখন কঠিন জীবনযুদ্ধে অনেক কিছু না পেলেও শুধু বন্ধু পেলে চলে যায়, আবার প্রাপ্তির প্রাচুর্যের মধ্যেও বন্ধু ছাড়া চলে না । বোধ হয় ভার্জিনিয়া উলফ একারনেই বলেছেন, Some people go to priests; others to poetry; I to my friends । তার মানে বন্ধু মানেই সবকিছু – প্রেম, কবিতা, ঈশ্বর । দার্শনিক অ্যারিস্টটল বন্ধুত্বের পরিণাম নিয়ে বলেছিলেন যে বন্ধুত্ব গড়া ক্ষণিকের কাজ, কিন্তু সে ফল ধীরে ধীরে পাকে । বন্ধুত্ব গড়া সহজ, সেটাকে টিকিয়ে রাখা ততোটাই কঠিন । নানা তুচ্ছ কারনে বন্ধুত্বের ইতি ঘটে যায় হামেশাই । তাই বন্ধুত্ব অনেকটা দাঁতের মত । দাঁত পড়ে গেলে তবেই বোঝা যায় দাঁতের মর্যাদা । পারিবারিক, অর্থনৈতিক বা সামাজিক অবস্থানের বৈষম্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাঝপথে বন্ধুত্বের অবসান ঘটায় । কিন্তু বন্ধু সবার চায় – ভীষণভাবে চায় – এই উপলব্ধি থেকেই অস্কার ওয়াইল্ড লিখেছেন, I don't want to go to heaven. None of my friends are there. দেশ, ভাষা, সমাজ, জাতি, ধর্ম এসবের বিভিন্নতা অনুযায়ী বন্ধুত্বের রীতিও বিচিত্র । কিন্তু মোড়কের রং যাই হোক, বন্ধুত্বের মৌলিক উপাদানের ভেদ নেই । তবে জীবনে এমন বন্ধু যেন না জোটে যাতে ভলতেয়ারের মত আক্ষেপ করে বলতে না হয় “ঈশ্বর আমাকে বন্ধুদের হাত থেকে বাঁচাও, শত্রুকে আমি নিজেই দেখে নেব” ।

শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৭

রক্তদান

বিগত বেশ কিছুদিন ধ'রে প্রায় প্রতিদিনই রক্তদান করে চলেছি। সেই সঙ্গে চলছে টেনিস খেলা। এমনকি মাঝরাতে উঠেও টেনিস খেলতে হচ্ছে। রক্ত নেওয়ার জন্য ডাক্তাররা আসছেন স্বেচ্ছায়। তারা কানের কাছে ক্রমাগত ব'লে যাচ্ছেন,"তোমরা আমাকে রক্ত দাও"। কিন্তু একবারও বলছেন না,"আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব"। এভাবে চলতে থাকলে ব্লাডব্যাঙ্কগুলোতে রক্ত উপচে পড়বে কি না জানা নেই তবে আমি যে ক্রমশ রক্তশূন্যতার দিকে এগোচ্ছি সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত। আর যখন তখন ব্যাট হাতে টেনিস প্র‍্যাক্টিস করতে করতে লিয়েন্ডার পেজ কখনোই হ'তে পারব না, কারন এই টেনিসে বলের বদলে ব্যবহৃত হয় অতিক্ষুদ্র পতঙ্গ। তবে রক্তসংগ্রহকারী ডাক্তাররা আমাদের স্বাধীনতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি না দিলেও স্বাধীনতা আমরা পাই - চুলকাবার স্বাধীনতা - শরীরের প্রায় সব আবরণ খুলে ফেলে সর্বাঙ্গে চুলকাবার অবাধ স্বাধীনতা।
হ্যামিলটন সাহেবের গোসাবা
পশ্চিমবঙ্গে সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার হিসাবে দঃ২৪ পরগণার গোসাবার নাম প্রায় সকলেরই জানা । প্রকৃতির মোহময়ী সুন্দরবনের জল-জঙ্গল, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, কুমীর দেখার টানে আগত প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের অনেকেই অনুসন্ধিৎসু থাকেন পর্যটনকেন্দ্রের নানাবিধ ঐতিহাসিক গুরত্ব অবলোকন করতে । এই হিসেবে শুধু সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার হিসাবেই নয়, গোসাবার একটা ব্যতিক্রমী ঐতিহাসিক ঐতিহ্যও রয়েছে যা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের বিষয় । কিন্তু দুঃখের হ’লেও সত্যি যে, গোসাবায় বিদ্যাধরী নদীর তীরের এই ঐতিহাসিক নিদর্শন সার্বিক অবহেলায় ক্রমশ গুরুত্ব হারাচ্ছে ।
১৯০৩ সালে স্যার ড্যানিয়েল হ্যামিলটন সাহেব সুন্দরবনের গোসাবায় এসেছিলেন সেখানকার মানুষের দুঃখ- দুর্দশা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করার জন্য । ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে জল-জঙ্গল ঘেরা গোসাবা, রাঙ্গাবেলিয়া ও সাতজেলিয়া দ্বীপ (১২,২৫৭ বিঘা জমি) ইজারা নিয়ে মানব কল্যাণে সমবায় আন্দোলন শুরু করেছিলেন সম্রাট আশোকের আদর্শে অনুপ্রাণিত স্কটল্যান্ডের এই মহামতি । এই মানব কল্যাণের স্বীকৃতি হিসাবেই ইংল্যান্ডের রাজা ৭ম এডওয়ার্ড ১৯০৬ সালে তাঁকে ‘নাইট’ উপাধি দেন এবং তিনি পরিচিত হন স্যার ড্যানিয়েল হ্যামিলটন হিসাবে । প্রজাদের আর্থিক মানোন্নয়নের প্রয়োজনে তিনি এই অঞ্চলে এক টাকার কাগজের নোটের প্রচলন শুরু করেন (৮ ফেব্রুঃ ১৯৩৬) । নিজের পরিবারের সদস্য ও অতিথিদের থাকার জন্য গোসাবায় এক কিলোমিটার ব্যবধানে দুটি বাসস্থান নির্মিত হয় যার একটি ‘বেকন বাংলো’ এবং অন্যটি ‘হ্যামিলটন বাংলো’ নামে পরিচিত। মায়ানমার থেকে আনা মূলবান সেগুন কাঠের তৈরি দর্শনীয় এই বাংলো মূল্যবান ঐতিহাসিক নিদর্শন হলেও প্রশাসনিক অবহেলায় পর্যটকদের ততটা দৃষ্টি আকর্ষণ করে না । গোসাবা একদা গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পদধূলিধন্য হয়েছিল । ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৩২ সালে হ্যামিলটন সাহেবের আমন্ত্রণে রবীন্দ্রনাথ গোসাবায় উপস্থিত হয়েছিলেন । এই হিসেবে এক ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান হিসাবে গোসাবা পর্যটকদের কাছে অনেক আকর্ষণীয় হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি । বেকন বাংলোর সামনে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্রনাথের মূর্তি দাঁড়িয়ে আছে অযত্নে । বাংলোর দেওয়ালে রং-এর প্রলেপ নেই । ক্রমশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মহার্ঘ সেগুন কাঠ । ‘হ্যামিলটন বাংলো’য় হ্যামিলটন সাহেবের স্মৃতিবিজড়িত জিনিসপত্র এবং তাঁর আবক্ষ মূর্তি সবই অবহেলায় ধ্বংসের মুখে ।বাংলো রক্ষণাবেক্ষণের উদ্দেশ্যে গঠিত ট্রাষ্টি বোর্ড, স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু ক’রে জেলা প্রশাসন এমনকি রাজ্য সরকার সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় গোসাবা শুধু সুন্দরবন নয়, ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান হিসাবেও পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্রে উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করতে পারে ।

মুখ চাপা সত্য

 মুখ চাপা সত্য শেষ দিয়ে সত্যের শুরু  নাকি সত্যের চির সমাধি?  নাকি মুখ চাপা সত্যের গোঙানি স্পষ্ট বাক্যে শোনা যাবে একদিন?