শনিবার, ১৮ মে, ২০১৯
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০১৯
গল্প 'কড়া'
কড়া - অ.না.ক. ১০/০৫/২০১৯
প্রায় পঁচিশ বছর পর স্যারের সঙ্গে দেখা হ'ল সামনা সামনি। টিভির পর্দায় কিংবা খবরের কাগজের পাতায় স্যারের ছবি দেখে দেখেই পার হয়ে গেছে পঁচিশটি বছর। গিয়েছিলাম রবীন্দ্রসদনে ভারতের এক বিখ্যাত সেতার বাদকের বাজনা শুনতে। সঙ্গীতের কিছুই বুঝি না, কিন্তু নেহাত সুর আমার কানের ভেতর দিয়ে, কেন জানিনা, মর্মে ঢুকে যায়। তাই ভাল অনুষ্ঠানের লোভ সামলাতে না পেরে সম্ভব হ'লে চলে যাই। অনুষ্ঠান শুরুর মুহূর্তে মঞ্চের রঙিন আলোয় মনে হ'ল তবলা সঙ্গতে রয়েছেন স্যার। সুতরাং পুরো অনুষ্ঠানটায় সেতারের চেয়ে তবলায় বেশী মনোনিবেশ করলাম। প্রাণ জুড়িয়ে গেল। অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই ছুটলাম গ্রীন রুমে স্যারের সঙ্গে দেখা করতে। নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি তখন আমার কাছে অর্থহীন। অবাধেই পৌঁছে গেলাম স্যারের কাছে। আমাকে দেখে চিনতে পেরে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। আমার কন্ঠ সেই মুহূর্তে প্রায় রুদ্ধ। কিছুক্ষণ আলাপচারিতার পর আমার ডান হাতটা ধরে আঙুলে হাত দিয়ে বললেন, 'হাতে বেশ কড়া পড়েছে দেখছি। খুব বাজাচ্ছিস নিশ্চয়?' উত্তরে একগাল অস্বচ্ছন্দ মেকি হাসি মুখে এনে বললাম,'স্যার অতিরিক্ত কম্পিউটারে কাজ ক'রে ক'রে কড়া পড়েছে। তবলা তো স্যার কবেই ছেড়ে দিয়েছি।' একসময় আমাকে নিয়ে খুব আশাবাদী ছিলেন। সেই কারনেই বোধ হয় একটু আশাহত হলেন। কিছুক্ষণ ফ্যাল ফ্যাল ক'রে তাকিয়ে রইলেন আমার দিকে। তারপর স্যার ব্যস্ততার প্রবাহে বিদায় নিলেন। আমি নিজেই এতদিন লক্ষ্য করিনি হাতের আঙুলে কড়া পড়েছে। ছোট বেলায় যখন খুব মনোযোগ দিয়ে তবলা শিখতাম তখন প্রায়ই হাতের তালু আর আঙুলগুলো পরখ করতাম কড়া পড়েছে কি না যাচাই করার জন্য। কারন হাতে কড়া পড়লে বুঝতে হবে অনুশীলন ভাল হচ্ছে। এটা ছিল স্যারের অনুশীলনের মাত্রা পরীক্ষা করার পন্থা। আজ আমার হাতের কড়া দেখে মনে হ'ল আমার অনুশীলনের মাত্রা সত্যিই বেড়েছে - তবলার অনুশীলন নয়, যা ছিল আমার এক সময়ের বড় হওয়ার স্বপ্ন, এ অনুশীলন দারিদ্র্যের সাথে যুদ্ধ ক'রে বেঁচে থাকার নিরস এবং নিরলস অনুশীলন। আফসোস হয়, যদি হাতের এই কড়াগুলো পড়ত পঁচিশ বছর আগেই!
প্রায় পঁচিশ বছর পর স্যারের সঙ্গে দেখা হ'ল সামনা সামনি। টিভির পর্দায় কিংবা খবরের কাগজের পাতায় স্যারের ছবি দেখে দেখেই পার হয়ে গেছে পঁচিশটি বছর। গিয়েছিলাম রবীন্দ্রসদনে ভারতের এক বিখ্যাত সেতার বাদকের বাজনা শুনতে। সঙ্গীতের কিছুই বুঝি না, কিন্তু নেহাত সুর আমার কানের ভেতর দিয়ে, কেন জানিনা, মর্মে ঢুকে যায়। তাই ভাল অনুষ্ঠানের লোভ সামলাতে না পেরে সম্ভব হ'লে চলে যাই। অনুষ্ঠান শুরুর মুহূর্তে মঞ্চের রঙিন আলোয় মনে হ'ল তবলা সঙ্গতে রয়েছেন স্যার। সুতরাং পুরো অনুষ্ঠানটায় সেতারের চেয়ে তবলায় বেশী মনোনিবেশ করলাম। প্রাণ জুড়িয়ে গেল। অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই ছুটলাম গ্রীন রুমে স্যারের সঙ্গে দেখা করতে। নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি তখন আমার কাছে অর্থহীন। অবাধেই পৌঁছে গেলাম স্যারের কাছে। আমাকে দেখে চিনতে পেরে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। আমার কন্ঠ সেই মুহূর্তে প্রায় রুদ্ধ। কিছুক্ষণ আলাপচারিতার পর আমার ডান হাতটা ধরে আঙুলে হাত দিয়ে বললেন, 'হাতে বেশ কড়া পড়েছে দেখছি। খুব বাজাচ্ছিস নিশ্চয়?' উত্তরে একগাল অস্বচ্ছন্দ মেকি হাসি মুখে এনে বললাম,'স্যার অতিরিক্ত কম্পিউটারে কাজ ক'রে ক'রে কড়া পড়েছে। তবলা তো স্যার কবেই ছেড়ে দিয়েছি।' একসময় আমাকে নিয়ে খুব আশাবাদী ছিলেন। সেই কারনেই বোধ হয় একটু আশাহত হলেন। কিছুক্ষণ ফ্যাল ফ্যাল ক'রে তাকিয়ে রইলেন আমার দিকে। তারপর স্যার ব্যস্ততার প্রবাহে বিদায় নিলেন। আমি নিজেই এতদিন লক্ষ্য করিনি হাতের আঙুলে কড়া পড়েছে। ছোট বেলায় যখন খুব মনোযোগ দিয়ে তবলা শিখতাম তখন প্রায়ই হাতের তালু আর আঙুলগুলো পরখ করতাম কড়া পড়েছে কি না যাচাই করার জন্য। কারন হাতে কড়া পড়লে বুঝতে হবে অনুশীলন ভাল হচ্ছে। এটা ছিল স্যারের অনুশীলনের মাত্রা পরীক্ষা করার পন্থা। আজ আমার হাতের কড়া দেখে মনে হ'ল আমার অনুশীলনের মাত্রা সত্যিই বেড়েছে - তবলার অনুশীলন নয়, যা ছিল আমার এক সময়ের বড় হওয়ার স্বপ্ন, এ অনুশীলন দারিদ্র্যের সাথে যুদ্ধ ক'রে বেঁচে থাকার নিরস এবং নিরলস অনুশীলন। আফসোস হয়, যদি হাতের এই কড়াগুলো পড়ত পঁচিশ বছর আগেই!
শুক্রবার, ৩ মে, ২০১৯
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
মুখ চাপা সত্য
মুখ চাপা সত্য শেষ দিয়ে সত্যের শুরু নাকি সত্যের চির সমাধি? নাকি মুখ চাপা সত্যের গোঙানি স্পষ্ট বাক্যে শোনা যাবে একদিন?
-
এক লাইনের কাব্যঃ অ.না.ক. ২১/০৩/২০১৭ এক লাইনেও কাব্য হয় দু'লাইনে ছন্দময় ।